গত দুই বছর ধরে ভিনীত সাওয়ান্ত মুম্বাইয়ের রাস্তায় স্কুটারে ডেলিভারির কাজ করছেন। তিনি বলেন, “রাস্তার কাজ সবসময়ই চাপের, বিশেষ করে মুম্বাইয়ের মতো শহরে।”
কিন্তু কাজ শুরুর সময় ভাষাগত সমস্যাও ছিল তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তার মাতৃভাষা মারাঠি, ইংরেজি তিনি খুব অল্পই জানেন। তিনি জানান, “আমি কিছুটা বুঝতে পারি, কিন্তু পড়া খুব কঠিন।”
এই সীমাবদ্ধতা তার নতুন চাকরিতে সমস্যা তৈরি করেছিল। “প্রথমে খুব অসুবিধা হতো। সব নির্দেশ ইংরেজিতে ছিল। কিছুটা বুঝতাম, কিন্তু মারাঠিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম। তখন অন্য ডেলিভারি ড্রাইভারদের সাহায্য চাইতাম কী করতে হবে বুঝতে।”
ভিনীত জেপটো নামের একটি অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করেন। দ্রুত গ্রোসারি পণ্য ডেলিভারি দিতে তাকে নির্দেশনা বুঝতে সমস্যায় পড়তে হয়।
এই সমস্যা সমাধানে এক বছর আগে জেপটো ‘রেভেরি ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজিস’-এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে ড্রাইভারদের জন্য এআই-ভিত্তিক ভাষা অনুবাদ সেবা চালু করে।
এখন অ্যাপের মাধ্যমে ডেলিভারিম্যানরা ছয়টি ভাষার মধ্যে পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন।
ভিনীত বলেন, “এখন আর আন্দাজ করতে হয় না। আগে পড়তে সময় লাগত এবং ভুলও হয়ে যেত। এখন যদি কাস্টমার লিখে ‘রিং বেল’, আমি সেটি মারাঠিতে পাই। আর কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হয় না, সব পরিষ্কার।”
ভারতে ২২টি সরকারি ভাষা এবং শত শত উপভাষা রয়েছে। উচ্চমানের ডেটাসেট তৈরি, এআই ভাষা মডেল নির্মাণ এবং ২২ ভাষায় অনুবাদ সেবা চালু করার লক্ষ্যে ভারতে ‘ভাষিনী’ নামের একটি সরকারি প্রকল্প চালু করা হয়েছে।