You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বদলে গেছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট

গত ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বাংলাদেশের জন্য ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। এমনিতেই ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ, এ দিনেই এশিয়ার নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চোরতন্ত্রকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ধাওয়া দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। সেই দিবসের একবছর পূর্তি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিকে দুটি অনন্য উপহার দিয়েছেন। একটি হলো, আগামী সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা। আর একটি হলো, জুলাই প্রোক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র।

নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা ঐতিহাসিক। কারণ সঠিকভাবে বলতে গেলে বিগত তিনটি নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল ভুয়া এবং প্রহসনমূলক। এ বিষয়টি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। যখন জুলাই বিপ্লবের আগে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি ও জামায়াতসহ আওয়ামীবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করছিল তখন ড. আসিফ নজরুল বলেন, মানুষ আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন কেমন, সেটা ভুলেই গেছেন। কারণ তারা দেখেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ-সদস্যের নির্বাচন। তারা দেখেছে, দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন হয়। তারা দেখেছে, ‘আমি আর ডামির’ নির্বাচন।

পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন ছিলেন খুবই অজনপ্রিয়। কারণ ’৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষার দাবিতে বের হওয়া ছাত্র-জনতার মিছিলের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। এহেন অজনপ্রিয় নুরুল আমিনের আমলেও নির্বাচন হয়েছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ক্ষমতাসীন নুরুল আমিনের দল মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয়েছিল।

সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৭০ সালে যে নির্বাচন হয়, যে নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, সেই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সামরিক শাসনের অধীনে। সামরিক আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতার বিচারে ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন। অথচ শেখ হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচন ছিল সবচেয়ে কলঙ্কময়। দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শেখ হাসিনার তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তিনটি নির্বাচন, অর্থাৎ ১৫ বছর পর বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এবার সর্বপ্রথম ভোট দেবে। তাই আমি বলছি, ড. ইউনূসের নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ব্যাপার।

ড. ইউনূসের সরকারের দ্বিতীয় উপহারটিও দেশবাসী পেয়েছে একইদিন। তার দ্বিতীয় উপহারটি ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র। জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী এজন্য যে, ইতঃপূর্বেও বাংলাদেশে একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। সেটি ছিল ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে যেটি পরে মুজিবনগর হিসাবে খ্যাত হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে যারা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন, তাদের যৌথ সমাবেশে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম ঘোষণাপত্র পঠিত হয়। পাঠ করেন তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য, পরবর্তীকালে শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসূফ আলী। ওই ঘোষণাপত্রের নাম ছিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৫৪ বছর পর ড. ইউনূস পাঠ করলেন আর একটি ঘোষণাপত্র। সেই হিসাবে এটি হলো দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র। সম্ভবত এ কারণেই ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লব সমাপ্ত হলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বলে, এটি হলো আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সম্ভবত সেজন্যই নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি দাবি করছে, তারা দ্বিতীয় রিপাবলিক বা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। সেজন্য তারা পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে গণপরিষদের নির্বাচন চায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন