
শেরপুর পৌরসভার টিআর প্রকল্প: নথিতে প্রায় সম্পন্ন, বাস্তবে অদৃশ্য
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সাতটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। যদিও দাপ্তরিক নথিতে সব প্রকল্পই ‘প্রায় সম্পন্ন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিনটি কিস্তিতে শেরপুর পৌরসভায় মোট ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩২৯ টাকা ৫৫ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাতটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শিশুপার্ক সংস্কার (৪ লাখ), শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার (১ লাখ ১৫ হাজার), মডেল মসজিদের চেয়ার ক্রয় ও দানবাক্স নির্মাণ (১ লাখ ১৫ হাজার), উপজেলা পরিষদের হলরুম সংস্কার ও আসবাবপত্র ক্রয় (১ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৫), টেনিস কোর্টসংলগ্ন ওয়াশরুম ও চেঞ্জরুম নির্মাণ (৩ লাখ), পৌরসভা কার্যালয়ে আইপিএস স্থাপন (৩ লাখ ৫০ হাজার) এবং পৌর এলাকায় ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিক বিন স্থাপন (১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬৪ টাকা)।
তালিকায় প্রকল্পগুলো পৌর এলাকার উন্নয়নের জন্য অনুমোদিত হলেও বাস্তবে অধিকাংশ প্রকল্পই উপজেলা পরিষদকেন্দ্রিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টিকে ইউএনওর পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একই বক্তব্য দিয়েছেন শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জানে আলম খোকা। তিনি বলেন, ‘পৌরসভার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিনের সমস্যা। টিআর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে কিছুটা হলেও এ দুরবস্থা কাটানো যেত। কিন্তু যেহেতু ইউএনও একই সঙ্গে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন, তাই তিনি প্রকল্পগুলো উপজেলা পরিষদকেন্দ্রিক গ্রহণ করেছেন।’
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- অবকাঠামো খাত
- প্রকল্পের কাজ