
শরীরে প্রবেশ করা মাইক্রোপ্লাস্টিক কীভাবে প্রভাব ফেলে
ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিককণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। বিজ্ঞানীরা একসময় অনুমান করতেন, আমাদের শরীরে প্রতিবছর ৫২ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীকালে দেখা যায়, এর চেয়ে বেশি কণা মানবদেহে প্রবেশ করছে। খাবার বা পানির পাশাপাশি আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিই, তার মাধ্যমেও মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করছে। এরই মধ্যে কিডনি, প্লীহা, মস্তিষ্কসহ বিভিন্ন অঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে অন্য সময়ের চেয়ে এখন বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করছে মানুষ।
২০২৪ সালের শেষের দিকে চীনা গবেষকেরা কনুই ও কাঁধে সার্জারি করা রোগীদের হাড় ও পেশির নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানীরা সেই সময় বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, হাড় বা পেশির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি একজন ব্যক্তির ব্যায়াম করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্য গবেষণায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক হাড় বা পেশির কোষের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
২০২৪ সালে ইতালীয় গবেষকদের একটি দল কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্যারোটিড ধমনিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করেন। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে এমন ধমনিতে কণার উপস্থিতি দেখা যায়। মাইক্রোপ্লাস্টিক যেসব রোগী বহন করেছিলেন, তাঁদের স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি ৪ দশমিক ৫ গুণ বেশি ছিল বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- প্লাস্টিক দূষণ