শোকে স্তব্ধ উত্তরা, ঘরে ঘরে বেদনা

প্রথম আলো উত্তরা প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫১

শোকের ছায়ায় বিষণ্ন হয়ে আছে উত্তরা। দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিষ্পাপ শিশুসহ ৩২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক যেন কালো মেঘের মতো ঘনিয়ে এসেছে উত্তরা এলাকার বাসিন্দাদের মনে। ঘরে ঘরে বেদনা।


গত সোমবার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই কোমলমতি শিশুদের মৃত্যু ও যন্ত্রণায় দেশবাসীর মন বেদনাবিধুর হয়ে ওঠে। তবে উত্তরার পরিবেশ ছিল হৃদয়বিদারক। সেদিন বিকেল থেকেই জীবনযাত্রা অনেকটা মন্থর হয়ে পড়ে। সেক্টরগুলোর হোটেল–রেস্তোরাঁ, ব্যস্ত বিপণিবিতান, তরুণদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে থাকার জনপরিসরগুলো সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটাই জনবিরল হয়ে যায়। সেক্টরের ভেতরের সড়কগুলোতেও যানবাহন চলাচল কমে আসে। জীবনযাত্রার স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য ছিল ম্লান–মন্থর।


গতকালও সেই শোকাচ্ছন্নতা অনেকটাই বজায় ছিল। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের গৃহবধূ তামান্না আক্তার প্রথম আলোকে জানালেন, তাঁর ছেলে মোবাশ্বের রহমান মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন তিনি ছেলেকে আনতে স্কুলের প্রধান ফটকে কাছে অপেক্ষা করছিলেন। ছেলে শ্রেণিকক্ষ থেকে দুর্ঘটনার অল্প কিছুক্ষণ আগেই বের হয়েছিল। ওর এক সহপাঠী অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। দুর্ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে তিনি ছেলেকে পেয়েছেন। তিনি বললেন, ওই সময়টা যে কীভাবে কেটেছে তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। ছেলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।



বিকেলে কথা হচ্ছিল রেজাউল হকের সঙ্গে। তিনি ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক। বাসা দিয়াবাড়িতে। তাঁর দুই ছেলে–মেয়ে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁর কাছে জানা গেল, উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী। দিয়াবাড়ির ক্যাম্পাসটিই সবচেয়ে বড়। এ ছাড়া উত্তরায় ৪, ৭, ১১ নম্বর সেক্টরসহ বিভিন্ন সেক্টরে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের আরও বেশ কটি শাখা আছে। উত্তরা ও আশপাশের অনেক এলাকার বাসিন্দার সন্তানেরা মাইলস্টোনের শাখাগুলোর শিক্ষার্থী। ফলে দিয়াবাড়ি শাখার দুর্ঘটনার শোক ও বেদনা শুধু এই শাখার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মনেই নয়, সব শাখার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনেও গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। তিনি নিজেও মনোবেদনায় ভারাক্রান্ত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও