পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমাদের দর–কষাকষি হতাশ করেছে: সেলিম রায়হান
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের দর-কষাকষির অভিজ্ঞতা নেই। পাল্টা শুল্ক অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দর-কষাকষি হতাশ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) থাকা সত্ত্বেও তারা জটিল ইস্যুগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করছে।
আজ রোববার ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সেলিম রায়হান এ কথা বলেন। প্রথম আলো রাজধানীর এক হোটেলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে। সেখানে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গবেষকেরা অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সেলিম রায়হান আরও বলেন, বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা জটিল। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভারতের সঙ্গেও রয়েছে নানা জটিলতা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূকৌশলগত অবস্থান ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপ প্রসঙ্গে সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই নতুন পর্বে যেখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে বাংলাদেশকে বুঝতে হবে ভূরাজনৈতিক সুবিধা কোথায় আছে। কোন কোন পণ্যে বা খাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ইতিবাচক অবস্থান নিতে পারি।’
সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘আমরা এমন বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে রপ্তানিনির্ভর শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে চামড়া, চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কিছু খাত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং সেখানে চলমান আলোচনার ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ বাণিজ্য নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে।’