You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণ নিরসনে প্রযুক্তি ও আমাদের অবস্থান

বায়ু দূষণ এখন নীরব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে, যা ২০২১ সালে প্রায় ৮.১ মিলিয়ন মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৃত্যুঝুঁকির কারণ, বলে জানিয়েছে State of Global Air 2024 প্রতিবেদনে।

হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (HEI), ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (IHME) এবং ইউনিসেফ-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ এমন বায়ু শ্বাস নিচ্ছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে অনেক বেশি দূষিত।

এই বিষাক্ত বায়ু শ্বাস নেওয়া বহু ধরনের অসংক্রামক রোগের কারণ, যেমন হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ফুসফুস ক্যান্সার এবং অকাল প্রসব বা কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুদের জটিলতা। শিশুদের জন্য এই বিপদ আরও গুরুতর; ২০২১ সালে, ৫ বছরের নিচের ৭ লক্ষাধিক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বায়ু দূষণের কারণে, যা অপুষ্টির পরেই মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে স্থান পেয়েছে।

এই সংকটের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে PM2.5 নামক অতি সূক্ষ্ম কণিকা, যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম। এই কণিকাগুলো ফুসফুসের গভীরে ঢুকে রক্তপ্রবাহে মিশে গিয়ে একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্ষতি করে। World Air Quality Report 2024 অনুযায়ী, মাত্র অল্প কয়েকটি দেশই WHO-এর নির্ধারিত বার্ষিক PM2.5 মান (৫ µg/m³) পূরণ করতে পেরেছে।

দক্ষিণ এশিয়া (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) ও আফ্রিকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। আফ্রিকায়, বায়ু দূষণ বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম মৃত্যুর কারণ, যেখানে ঘরোয়া এবং বাইরের উভয় ধরণের দূষণই ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই নানাবিধ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও কৌশলের মাধ্যমে বায়ু দূষণ হ্রাসে বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই উদাহরণগুলো আমাদের দেখায় যে কার্যকর সমাধান বিদ্যমান—প্রয়োজন কেবল দ্রুত ও পরিকল্পিত বাস্তবায়নের।

নরওয়ে পরিবহন খাতে দূষণ রোধে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ২০২৪ সাল নাগাদ দেশটিতে বিক্রি হওয়া নতুন গাড়ির ৮০ শতাংশের বেশি ছিল বৈদ্যুতিক। সরকার বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের জন্য করছাড়, চার্জিং স্টেশন ও বিনামূল্যে পার্কিং সুবিধা প্রদান করেছে। এর ফলে অসলোসহ বড় শহরগুলোয় নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx) ও PM2.5 এর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নরওয়ের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সবুজ পরিবহণে বিনিয়োগ দ্রুত ফলদায়ী হতে পারে।

জ্বালানি খাতে আইসল্যান্ড এক অনন্য দৃষ্টান্ত। দেশটি প্রায় ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভূতাত্ত্বিক ও জলবিদ্যুৎ উৎস থেকে, যা প্রায় শূন্য বায়ু দূষণ ঘটায়। তাছাড়া, অধিকাংশ বাড়িঘর ভূগর্ভস্থ তাপ ব্যবহার করে গরম করা হয়, ফলে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিন পোড়ানোর প্রয়োজন হয় না। এভাবে দেশটি ইনডোর ও আউটডোর—উভয় ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্ন বায়ু নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর একটি দিল্লি, যেখানে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে 'স্মোগ টাওয়ার' বা বিশাল আকারের বায়ু পরিশোধক। এই টাওয়ারগুলো HEPA ফিল্টার ও আয়ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সূক্ষ্ম কণাগুলো (PM2.5) শোষণ করে। যদিও এর প্রভাব বিস্তারের পরিধি এখনো বিতর্কের বিষয়, তবে এটি শহুরে দূষণের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিনির্ভর সাহসী পদক্ষেপের প্রতীক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন