চিকুনগুনিয়ার পর ব্যথা কমাতে যেমন ফিজিওথেরাপি দরকার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫০

চিকুনগুনিয়া-পরবর্তী ব্যথা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। রোগ সেরে যাওয়ার পরও চলমান এই ব্যথা কমানোর জন্য সপ্তাহভিত্তিক ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে হাত-পা ও অস্থিসন্ধির ব্যথা, আড়ষ্টতা ও দুর্বলতা ধীরে ধীরে কমানো যায়।


সপ্তাহভিত্তিক ফিজিওথেরাপি রুটিন



  • সপ্তাহ ১-২ (ব্যথা ও আড়ষ্ট কমানোর জন্য যা করবেন)

  • প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার গরম সেঁক। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অস্থিসন্ধিতে গরম পানি দিয়ে গরম সেঁক দিন।

  • ব্যথা বেশি থাকলে হালকা ঠান্ডা সেঁকও দিতে পারেন। রেঞ্জ অব মোশন (আরওএম) এক্সারসাইজ (ধীরে ধীরে)। হাতের আঙুলগুলো আস্তে আস্তে মুঠো করুন ও খুলুন ১০ বার।

  • কবজি ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীতে ঘোরান ১০ বার।

  • গোড়ালি উঁচু করুন ও নিচে নামান ১০ বার।

  • হাঁটু ভাঁজ ও সোজা করার অনুশীলন ১০ বার, এ সময় ব্যথা বাড়লে বিশ্রাম নিন।


সপ্তাহ ৩-৪ (স্ট্রেচিং ও হালকা শক্তি বৃদ্ধির জন্য যা করবেন)



  • প্রতিদিন দুইবার আগের আরওএম এক্সারসাইজ চালিয়ে যাবেন এবং স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে হবে।

  • হাত ও পায়ের পেশি আস্তে আস্তে টানুন, ১০–১৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন।

  • পায়ের পেছনের পেশি (হ্যামস্ট্রিং) স্ট্রেচ করার জন্য চেয়ারে বসে পা সোজা করে রাখুন এবং হাত দিয়ে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।

  • কাঁধ স্ট্রেচ করার জন্য হাত ওপরে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে টান দিন। প্রতিটি স্ট্রেচ তিন থেকে পাঁচবার করুন।


সপ্তাহ ৫-৬ (পেশি ও অস্থিসন্ধির শক্তি বৃদ্ধির জন্য যা করবেন)



  • প্রতিদিন এক থেকে দুইবার হালকা রেজিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ করুন।

  • রাবার থেরাব্যান্ড ব্যবহার করে হাত টানার অনুশীলন।

  • পায়ের জন্য দেয়ালে ঠেলে রাখার অনুশীলন।

  • ব্যথা সহনীয় হলে দিনে ২০–৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও