রাজনীতি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নরসিংদীতে এত খুনোখুনির নেপথ্যে আরও যেসব কারণ

প্রথম আলো নরসিংদী প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৫৪

নরসিংদীতে খুনোখুনি থামছে না। জেলার একই পরিবারের চারজন সদস্য খুন হয়েছেন প্রতিপক্ষের হাতে। প্রথম খুনের ঘটনা ঘটে ১৯৭২ সালে, সর্বশেষটি ২০২৩ সালে। পাঁচ দশকের ব্যবধানে ঘটা এসব খুনের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জের। এর পাশাপাশি জমিজমা নিয়ে বিরোধ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পারিবারিক কলহসহ নানা তুচ্ছ কারণেও ঘটছে খুনোখুনি। পুলিশের হিসাবে, গত ২০ বছরে এ জেলায় খুন হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।


যে পরিবারটি তাদের চার সদস্যকে হারিয়েছে, সেটি শিবপুর উপজেলার খান পরিবার। ২০২৩ সালে খুন হন ওই পরিবারের সদস্য হারুনুর রশিদ খান, তিনি তখন শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে পরিবারটির কোনো সদস্য প্রথম খুন হন। তাঁর নাম মোক্তার খান, যিনি হারুনুর রশিদের চাচাতো ভাই। আশির দশকের মাঝামাঝিতে হারুনুর রশিদের আরও দুই চাচাতো ভাই সাজু খান ও সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল আউয়াল খানকে (কিরণ) হত্যা করা হয়। এর মধ্যে সাজু খান ছিলেন দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁকে হত্যা করা হয় ১৯৮৫ সালে। পরের বছর হত্যা করা হয় রবিউল আউয়াল খানকে।


প্রথম আলোর অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, চারজনই খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে। যদিও খান পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবারটির তিন সদস্যের সঙ্গে প্রথম আলোর আলাদাভাবে কথা হয়। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁদের পরিবারকে বারবার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনায় সর্বহারা পার্টির সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার পাননি বলে জানান।


অবশ্য এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল হত্যা মামলার রায় হলেও তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে দাবি পরিবারের। ১৮ বছর পর ওই মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে দণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।


অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে অধিকাংশ আলোচিত খুনের ঘটনা ঘটেছে নরসিংদী শহর ও শিবপুর উপজেলায়। পলাশ উপজেলাতেও রাজনৈতিক খুনের ঘটনা আছে। এ ছাড়া সদর ও রায়পুরা উপজেলায় মেঘনার চরাঞ্চলের ১১টি ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মাঝেমধ্যেই খুনের ঘটনা ঘটেছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও