You have reached your daily news limit

Please log in to continue


চাঁদের রাজকুমারী ও বাঁশঝাড়ের বুড়ি

একটি জাপানি লোককাহিনি দিয়ে শুরু করি। জাপানের এক পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করত এক বৃদ্ধ বাঁশকাটা শ্রমিক ও তার স্ত্রী। একদিন ওই বৃদ্ধ জঙ্গলে বাঁশ কাটতে গিয়ে হঠাৎ দেখে একটি কচি বাঁশ থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছে—জ্বলজ্বলে সোনালি আলো। কৌতূহলবশত সে বাঁশটি কাটল। দেখল, আঙুলের সমান ছোট্ট একটি মেয়েশিশু রয়েছে বাঁশের ভেতরে। অপরূপ মেয়েটি যেন সাধারণ কেউ না, এক দেবী। নিঃসন্তান বৃদ্ধ মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যায়। সে ও তার স্ত্রী মিলে তাকে লালন-পালন করতে থাকে। আর নাম দেয় কাগুয়া-হিমে, যার অর্থ ‘চাঁদের উজ্জ্বল রাজকুমারী’।

আস্তে আস্তে কাগুয়া বড় হয়ে যায়, অসম্ভব রূপবতী এক তরুণীতে পরিণত হয়। তার সৌন্দর্য, সৌম্যতা আর মায়াময় মনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অসংখ্য পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু কাগুয়ার সেই ইচ্ছে নেই। পাঁচজন অভিজাত রাজপুত্র তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে কাগুয়া কিছু শর্ত দেয়। বুদ্ধের পবিত্র পাথরের পাত্র, হোরাই পর্বতের রুপার ডাল, আগুনে পুড়ে যায় না এমন রঙিন মণি, ড্রাগনের গলার ঝুলানো রত্ন, সোনালি পাখির পালক—পাঁচজনকে এই পাঁচটি জিনিস এনে দিতে বলে কাগুয়া। যে সফল হবে তাকেই বিয়ে করবে সে। কিন্তু সবাই নকল জিনিস দিয়ে কাগুয়ার মন জয় করতে চায়। তাদের চালাকি কাগুয়া ধরে ফেলে। ফলে কাউকেই সে আর বিয়ে করে না। কাগুয়া আসলে বিয়েই করতে চাইছিল না।

একদিন জাপানের সম্রাটের কাছে পৌঁছে যায় কাগুয়া-হিমের রূপের বর্ণনা। সম্রাট প্রাসাদে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে কাগুয়া। পরে সম্রাট নিজেই কাগুয়াকে দেখার জন্য তার বাড়িতে যায়। কাগুয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে যায় সম্রাট। কিন্তু কাগুয়া শক্তিধর সম্রাটের প্রেম নিবেদনও ফিরিয়ে দেয়।

এক রাতে কাগুয়া চাঁদের দিকে তাকিয়ে বিষণ্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বৃদ্ধ মা-বাবাকে বলে, ‘আমি এই পৃথিবীর কেউ নই। চাঁদের রাজ্য থেকে এসেছি। সময় হয়েছে আমার ফিরে যাওয়ার।’

এ কথা শুনে ওই বৃদ্ধ দম্পতি শোকাতুর হয়ে পড়ে। মেয়েকে তারা কিছুতেই কাছছাড়া করতে চায় না। কিন্তু এক পূর্ণিমার রাতে ঠিকই মেঘ ভেদ করে চাঁদের রথে চড়ে কাগুয়া-হিমেকে নিতে আসে তার রাজ্যের লোকজন। মা-বাবা, সম্রাটের তাবৎ সৈন্য—কেউই আটকাতে পারে না কাগুয়াকে। যাওয়ার আগে কাগুয়া তার পালিত মা-বাবাকে দিয়ে যায় একটি চিঠি ও অমরত্বের ওষুধ। আর বলে, ‘পৃথিবীর প্রতি আমার ভালোবাসা থাকবে, কিন্তু নিয়তি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

চাঁদের রথে উঠে দূর আকাশে বিলীন হয়ে যায় কাগুয়া। এদিকে অমরত্বের ওষুধ সম্রাটকে পাঠিয়ে দেয় ওই বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু সম্রাট কাগুয়াকে ছাড়া কিচ্ছু চায় না। তাই সেই ওষুধ ফুজি পর্বতের চূড়ায় নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। জাপানিরা বলে, এখনো ফুজি পর্বত থেকে যে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়, তা ওই অমরত্বের ওষুধ পোড়ানোর ধোঁয়া!
২. বাঁশঝাড়ে পাওয়া চাঁদের রাজকুমারীকে নিয়ে ৯ম শতকের শেষ অথবা ১০ম শতকের শুরুতে অজ্ঞাত কোনো এক জাপানি লেখক এই গল্পটি লেখেন। ‘দ্য টেল অব দ্য ব্যাম্বু কাটার’ বা ‘দ্য টেল অব প্রিন্সেস কাগুয়া’ নামে পরিচিত এই গল্প থেকে বিখ্যাত জিবলি স্টুডিও নির্মাণ করেছে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রও।

আর অনেকটা একইভাবে আমাদের দেশে সম্প্রতি এক ৯০ বছরের বৃদ্ধাকে পাওয়া গেছে বাঁশঝাড়ে। সেই বৃদ্ধা কোনো রাজকুমারী বা রানি নন, চাঁদের বুড়িও নন, এই পৃথিবীর একজন সাধারণ মানুষ। তাই তাঁকে নিয়ে কোনো লোককাহিনি রচিত হয়নি, কোনো সিনেমা বানানো হয়নি বরং ছোটখাটো খবর প্রকাশিত হয়েছে নানা গণমাধ্যমে।

বিমলা রানী নামের ওই বৃদ্ধার তিন সন্তান। কারও ঘরেই ঠাঁই হয় না তাঁর, তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়াও পান না। তাই তাঁর আশ্রয় হয় বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে। বগুড়া সদর উপজেলার বড় কুমিরা হিন্দুপাড়া গ্রামের হরিপদ চন্দ্রের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর স্ত্রী বিমলা রানীর জীবনে দুঃখের পাহাড় ভেঙে পড়ে। দুই কাঠমিস্ত্রি ও এক দরজি সন্তানের কেউই মা বিমলাকে ভরণপোষণ ও দেখভালের ভয়ে ঘরে রাখতে চান না। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে দূরে রেখে আসেন। প্রতিবেশীরা দয়া করে কিছু খেতে দিলে পেট ভরে বিমলার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন