আলোচনার বিস্তার ঘটাতে হবে

www.ajkerpatrika.com হাসান আলী প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৫, ০৯:৪৩

জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৃথিবীব্যাপী ১৫ জুনকে প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছরের এ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, ‘আলোচনার বিস্তার ঘটানো, লক্ষণ চিনুন এবং ঝুঁকি কমান।’ প্রতিপাদ্যের প্রথম ধাপ হলো, প্রবীণেরা যতভাবে নির্যাতনের শিকার হন, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জনসাধারণের সামনে খোলামেলাভাবে তুলে ধরতে হবে। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলে মানুষ সহজে তা প্রকাশ করতে চায় না। কারণ মানুষ তার দুর্বল জায়গাগুলো আড়াল করতে পছন্দ করে। প্রবীণ বয়সে মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। এসব নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়ে যায়। সংঘটিত নির্যাতনের অল্প কিছু চিত্র আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখি। বেশির ভাগ নির্যাতনের ঘটনা ভুক্তভোগী নিজ থেকেই চেপে যান। কারণ, নির্যাতনকারীরা পরিবারের সদস্য, নিকটতম আত্মীয়স্বজন, সেবাকর্মী, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ না কেউ হয়ে থাকেন। তাই এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য নির্যাতনের চিত্র গোপন না করে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা খুব জরুরি। প্রবীণেরা প্রধানত শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।


মূলত শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় চড়, থাপ্পড়, গলাধাক্কা, খুন্তি বা লাঠির দ্বারা আঘাত করে কিংবা খাবারদাবার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।


মানসিক নির্যাতন করা হয়—পছন্দের কাজ করতে বাধা দেওয়া, গালাগালি, খোঁটা দেওয়া, তীর্যক মন্তব্য করে, গুরুত্ব না দিয়ে, অবহেলা-অসম্মান করে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে এবং অতীতের ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে এসে অক্ষমতাকে কটাক্ষ করে।



আর্থিক নির্যাতন করা হয়—জমিজমা, বাড়িঘর, প্লট, ফ্ল্যাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকাপয়সার জন্য ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলে। কারণ, প্রবীণেরা যাতে তাঁদের চাহিদা মোতাবেক টাকাপয়সা খরচ করতে না পারেন।


সামাজিক নির্যাতন করা হয়—সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে, বিচার-সালিস বৈঠকে না ডেকে এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে। এরপর প্রবীণেরা যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।


উপরোক্ত সব ধরনের নির্যাতন সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। নির্যাতিত হওয়া অপরাধ কিংবা অসম্মানের বিষয় নয়, বরং নির্যাতনকারী অপরাধী এবং ঘৃণিত ব্যক্তি। এ জন্য প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা কোনোভাবেই চেপে রাখা যাবে না।


দ্বিতীয় ধাপ হলো, নির্যাতনের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যখন কোনো প্রবীণ ব্যক্তি হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যান, কথা বলা কমিয়ে দেন, প্রিয় জিনিসপত্রের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন না, খাবার খেতে চান না, চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহী, বেড়াতে যেতে চান না, পরিধানের কাপড়চোপড় ময়লা থাকে, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন, নিজের যত্ন নিতে অনিচ্ছুক হন, তখন বুঝতে হবে তিনি কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও