
অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রাণীরা এতটা রঙিন হয় কেন
বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন ও সমুদ্রের প্রাণিজগতের রঙিন বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। রেইন ফরেস্টের রঙিন তোতাপাখি থেকে শুরু করে প্রবালপ্রাচীরে থাকা উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের মাছ পর্যন্ত—এই উষ্ণ অঞ্চলের প্রাণীরা কেন এত উজ্জ্বল রং ধারণ করে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।
জার্মানির লেইবনিজ সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল মেরিন রিসার্চের ইকোলজিস্ট অস্কার পুয়েবলা জানিয়েছেন, প্রাণীরা রঙের মাধ্যমে মূলত যোগাযোগ স্থাপন করে। কখনো এটি নিজেদের প্রজাতির সদস্যদের কাছে আকর্ষণ দেখানো বা সঙ্গী আকর্ষণের জন্য, আবার কখনো শিকারি থেকে রক্ষা পেতে সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে।
তবে প্রাণীদের রঙিন হওয়ার কারণ ও পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। পাখিরা তাদের খাদ্য থেকে ক্যারোটিনয়েড নামক রঙিন পিগমেন্ট গ্রহণ করে, যা তাদের দেহে লাল, কমলা ও হলুদ রঙের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এই উজ্জ্বল রং তাদের সঙ্গী আকর্ষণ করতে বা অন্য পাখির প্রতি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে মাছ ও শামুকেরা তাদের কোষের জটিল সূক্ষ্ম কাঠামো ব্যবহার করে আলো বিকিরণ করে নিজেদের রং পাল্টাতে পারে, যা এদের শিকারি থেকে লুকানোর উপায়।