অসুখী দাম্পত্য টিকিয়ে রাখবেন, নাকি বিচ্ছেদে যাবেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮

মুনির-শামার বিয়ে পারিবারিকভাবে হয়েছিল। ছয় মাস না পেরোতেই শামা বুঝতে পারছিলেন, দুজনের ঠিক মিল হচ্ছে না। মতের অমিল, চিন্তাভাবনায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য আর দুই পরিবারের সংস্কৃতিতেও ফারাক—সব মিলিয়ে কিছুতেই দুজনের দিন ভালো যাচ্ছিল না। তবু ভাইদের সংসারে ফিরতে চাননি বলে আরও কিছুদিন সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভেবেছিলেন, সময়ের সঙ্গে হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। নতুন সংসারে, নতুন পরিবারে মানিয়ে নেওয়ার সব চেষ্টা তাঁর পক্ষ থেকে ছিল। সব ঠিক হয়ে যাওয়ার আশায় গর্ভধারণও করেন।


কিন্তু মানসিক চাপ, অব্যাহত যন্ত্রণায় একপর্যায়ে তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। এ ঘটনার পর সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। শেষমেশ ভাইদের বাড়িতেই ফিরে যান শামা। এই বিয়ে, সংসার, গর্ভপাত, মানসিক যন্ত্রণা তাঁর ওপর এমন প্রভাব ফেলে যে নিয়মিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি।


অফিসে কাজের ফাঁকে শামা বললেন, ‘শুরুতেই যদি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, তাহলে আমার মন বা শরীরের ওপর দিয়ে এত ধকল যেত না। আরও আগেই ক্যারিয়ার শুরু করতে পারতাম। নিজেকে আরও ভালোভাবে গুছিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু সমাজ বা পরিবারের কথা ভেবে বারবারই পিছিয়ে এসেছি, যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।’


বিয়ে কেবল দুটি মানুষের বন্ধন নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দুটি পরিবার, সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশের দেশগুলোয় এখনো বিচ্ছেদকে নেতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখা হয়। তাই হাজারো অমিল, অসম্মান, প্রতারণা কিংবা ঝগড়ার পরও এখানে দম্পতিরা বৈবাহিক সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। সেই বিয়েতে যদি বিন্দু পরিমাণও ভালোবাসা বা শান্তি না থাকে, তাতেও তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চান না। কখনো তার কারণ সমাজ, কখনোবা সন্তান।


একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ান তাসনিয়া ফারাজ। প্রেমের পর পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পরপরই সন্তানের মা হন। যদিও শুরু থেকেই নানান কারণে স্বামী শামসের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। কিন্তু নিজের পছন্দে এত ধুমধাম করে বিয়ের পর প্রেমিকের সঙ্গে মিলছে না, কথাটা কিছুতেই বাবা-মায়ের কাছে বলতে পারছিলেন না। আপাতদৃষ্টে সুখী পরিবার মনে হলেও তাঁরা দুজনেই বুঝছিলেন যে তাল কেটে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও