
হাতিয়ায় ট্রলার ডুবি: রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ২
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির একদিন পর নিখোঁজ এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজন হয়েছে। এখনো নিখোঁজ এক পুলিশ সদস্য ও এক শিশু।
রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতির বিবির হাটের কাছে মেঘনা নদী থেকে নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুবলে জানিয়েছেন ভাসানচর থানার ওসি মো. কুতুব উদ্দিন।
ওসি বলেন, লাশ উদ্ধার হওয়া হাসিনা খাতুন (২৫) ইউএনএইচসিআর-এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ট্রলারে তার স্বামী মো. তারেক এবং তাদের ৪ বছরের শিশু মো. তামিমও সঙ্গে ছিল।
তারেককে উদ্ধারের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাদের ছেলে তামিম নিখোঁজ রয়েছে।
অপর নিহত মো. সাইফুল ইসলাম পুলিশের নায়েক। তিনি জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম বলেন, বিবির হাট এলাকায় নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।