
মহাসড়কে অবৈধ হাট, ঈদে ভোগান্তির শঙ্কা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর অবৈধ হাট-বাজার বসিয়ে চলছে ব্যবসা। যদিও মাঝেমধ্যে নামমাত্র উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে একটু পরই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবার বসে এসব অবৈধ হাট। উচ্ছেদের এমন চোর-পুলিশ খেলার কারণে আসন্ন ঈদযাত্রায় জনভোগান্তির কারণ হতে পারে এই মহাসড়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে হাট বসিয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী, পরিবহনশ্রমিক-যাত্রী ও পুলিশ সূত্র বলেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। অথচ কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফীপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রিমোড়, বোর্ডঘরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ওভারপাসের নিচে ও ফুটপাতসহ এ মহাসড়কের ওপর ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট, অবৈধ হাট-বাজার বসিয়ে চলছে ব্যবসা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাটের নিয়ন্ত্রণ করেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সোহেল সরকার। তিনি বলেন, ‘যে টেন্ডার পাইছে সেই কালেকশন করে। আমার নামে তো টেন্ডার না, টেন্ডার হচ্ছে জাকিরের নামে।’ মহাসড়কে টেন্ডার কীভাবে হয় জিজ্ঞাসা করলে সোহেল বলেন, ‘জাকিরের সঙ্গে কথা বলেন।’ আপনি টাকা তোলেন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ‘আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগে আওয়ামী লীগ এবং বর্তমানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে। এসব হাট-বাজারের শত শত দোকান থেকে প্রতিদিন দোকানপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশসহ সড়কসংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করেই সিন্ডিকেট চক্র এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আর সে জন্য সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ভোগান্তি
- আশঙ্কা
- অবৈধ হাট বাজার
- ঈদযাত্রা