
সৌদি আরব যেভাবে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল
বিপদটা আসলে বাংলাদেশই বাড়াল। দুই ম্যাচের সিরিজটা থাকলেই ভালো হতো। দ্বিতীয় ম্যাচের হারটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এখন টানা দুই হারের পর এমন কিছু বলার সুযোগও নেই। কেন যে বিসিবি থেকে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাড়ানোর অনুরোধ করা হলো! এক অনুরোধের খেসারতে এখন মানসম্মান নিয়ে টানাটানি।
আরব-আমিরাতের অবশ্য সম্মান অনেক বেড়ে গেছে। টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় (২–১) বলে কথা। এর চেয়ে বড় বিষয়, কাল রাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় দিয়ে আমিরাত একটি তেতো স্বাদ হয়তো ভুলতে পারবে। দলটি যে গত ডিসেম্বরেই সৌদি আরবের কাছে হেরে গিয়েছিল!
গালফ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে সৌদির দেওয়া ১৮২ রান তাড়া করতে পারেনি আমিরাত। এই ওয়াসিমরাই তখন খেলেছেন। সেই আমিরাত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ম্যাচে ২০০ রানের বেশি তাড়া করে জিতল। যুক্তিবিদ্যার সূত্র তো বলছে, সৌদি আরবও এখন বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল। এই যুক্তি দিয়ে অবশ্য বাংলাদেশকেও দুনিয়ার সেরা দল বানানো যায়।
বাংলাদেশও তো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়েছে। সেই হিসাবে এই যুক্তিতে আপাতত বাংলাদেশ ক্রিকেট ভর করতেই পারে—বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের সেরা দল হবেই। সেটা হওয়ার জন্য আপাতত এটাও মানতে হবে—সৌদি আরব যেহেতু আমিরাতের বিপক্ষে জিতেছে আর আমিরাত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে, তাই সৌদিরা আপাতত বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল। কারও কারও হয়তো জানার ইচ্ছা হতে পারে, বর্তমান টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সৌদি কততম দল। সে ক্ষেত্রে তিনটি দলের অবস্থানই জানানো ভালো। টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ৯ম, আরব আমিরাত ১৫তম এবং সৌদি আরব ৩১তম।
- ট্যাগ:
- খেলা
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট