মানসিক স্বাস্থ্য ও নীতিনির্ধারণে বাজেট জরুরি

ঢাকা পোষ্ট জেসান আরা প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫, ১২:১৪

স্বাস্থ্য খাতের বাজেট প্রণয়নের সময় শারীরিক স্বাস্থ্য যতটা গুরুত্ব পায়, মানসিক স্বাস্থ্য তার তুলনায় অনেকটাই অবহেলিত থাকে। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষিত থাকলে একটি সমাজের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা, কর্মক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়।


বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী কর্মজীবী মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, এবং যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্ম হারান। এই তথ্য আমাদের কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে গভীর সংকেত দেয়।


জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIMH) পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হালকা থেকে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, যার মধ্যে ১৯ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ।


শিশু-কিশোরদের মধ্যেও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে, ১৮ বছরের নিচে ১৩.৬ শতাংশ শিশু-কিশোর মানসিক সমস্যায় ভুগলেও তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি কোনো ধরনের চিকিৎসা বা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। এই ভয়াবহ চিত্র দেখায় যে, মানসিক স্বাস্থ্য এখনো সমাজে একধরনের ‘অদৃশ্য সংকট’ রূপে রয়ে গেছে।


বাংলাদেশে উদ্বেগ, অস্থিরতা, রাগ, বিষণ্নতা, আত্মহত্যা, শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো বিষয়গুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা ও সামাজিক অবহেলার কারণে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।


মানসিক স্বাস্থ্যকে ঘিরে বিদ্যমান দৃষ্টিভঙ্গি ও গুরুত্ব দেওয়ার পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। এটি কেবল ব্যক্তি বা পরিবার নয়, বরং নীতিনির্ধারক পর্যায়ে বাজেট পরিকল্পনা, কর্মক্ষেত্রের আচরণবিধি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন।


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ও বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত কিছু সামাজিক সমস্যা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যাগুলোর ক্রমবর্ধমান হার আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার ঘাটতির প্রতিফলন। এটি এখন আর কেবল ব্যক্তিগত সমস্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সমাজের বৃহত্তর অংশকে প্রভাবিত করছে।


কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা, পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং প্রযুক্তির প্রভাব তরুণদের মাঝে হতাশা ও উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আত্মহত্যা বর্তমানে তরুণদের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে, যা প্রমাণ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব কতখানি।


শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনাগুলো শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবে ভুক্তভোগীকে চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর প্রভাব সারা জীবন বহন করতে হয়। ধর্ষণ বা নির্যাতনের শিকারদের অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদি ট্রমা, পিটিএসডি (Post-Traumatic Stress Disorder), আতঙ্ক, আত্মগ্লানি এবং আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও