
স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা: খরচ বাড়বে ৫ গুণ, ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা
বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। ঘোষণার পরের দিনই রোববার (১৮ মে) সীমান্তে আটকে গেছে অনেক পণ্য। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। পাঁচগুণ বেশি খরচ করে রপ্তানি আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় অনেকে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, স্থলবন্দর বন্ধ হলে ভারতে পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ, বিকল্প হিসেবে সমুদ্রপথে বাড়বে খরচ ও সময়। সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই বন্দরে পণ্য খালাস করে স্থলপথে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে হবে। এতে মূল ভুখণ্ডে কিছুটা রপ্তানি হলেও সবচেয়ে বড় বাজার সেভেন সিস্টার্স নামে খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
বেশ কয়েকজন রপ্তানিকারক জানান, এর আগে তারা সব সময় ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করেই পণ্য রপ্তানি করেছেন। কখনো সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করেননি। কারণ এতে পরিবহন খরচ প্রায় পাঁচগুণ হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই সব রাজ্যে পণ্য পাঠাতে প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতা পণ্য পাঠাতে হবে। পরে পুরো বাংলাদেশের সীমান্ত ঘুরে আসাম, মেঘালয়, করিমগঞ্জ ও আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান।