বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দাতা সংস্থা আইএমএফ-এর প্রাধান্য কমলেও অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারে উঠে আসছে চীনের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। সংস্থাটি বছরে একশ কোটি মার্কিন (১ বিলিয়ন) ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইতোমধ্যে তিন প্রকল্পের জন্য ৯৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যদিও এনডিবির ঋণ হচ্ছে বাজারভিত্তিক, অর্থাৎ উচ্চ সুদহার ও অনমনীয় (কঠিন শর্ত)। তবে ঋণের শর্ত সহজ এবং সুদহার নমনীয় পর্যায়ে আনতে সম্প্রতি এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ভ্লাদিমির কাজবেকভকে অনুরোধ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে নারাজ-এমন কথা বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ মন্তব্যের একদিন আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর বসন্তকালীন বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেন। সেখানে সাইডলাইনে আইএমএফ-এর প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করা হলেও ঋণের কিস্তির বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেছেন, সংস্থাটির (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচি বজায় রাখা নিয়ে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে আইএমএফ চলমান ঋণের কিস্তি দিলে দেবে, না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট করব। প্রকল্প সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক, এডিবি পাইপলাইনে আছে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে এক মিলিয়ন ডলার চেয়েছি। এনডিবি ও ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে সহায়তা চেয়েছি।