
পা ফেলতে হচ্ছে হিসাব করে
সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শেষে জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৯০ সালে যোগ দেন বিএনপিতে। ২০১১ সাল থেকে দলের মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি; ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনের সঙ্গে সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
জাতীয় সনদ তৈরির কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে বিএনপি কী দেখতে চায়?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: সংস্কার প্রস্তাব যা এসেছে, তার মধ্যে যেগুলোতে আমরা একমত হব, সেগুলোর সমন্বয়ে সংস্কারের একটি সনদ তৈরি হবে। যে বিষয়গুলোয় মতৈক্য হবে না, সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে আসবে। জাতীয় সংসদে যাবে। শেষ পর্যন্ত সবকিছু সংসদে অনুমোদিত হতে হবে।
কোন বিষয়গুলোয় আমরা একমত হচ্ছি, তা ঠিক এ মুহূর্তে আমরা বলতে পারব না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি।
এই সনদ কার্যকর করার বিষয়ে বিএনপি কী ভূমিকা নেবে?
মির্জা ফখরুল: যে বিষয়গুলোয় একমত হওয়া যাবে, সেগুলো এই সরকার করে ফেলবে। সেগুলো আগামী সংসদে পাস হতে হবে।
আইন পরিষদে নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের সদস্যরা কী প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ আছে। দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সদস্য নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে...
মির্জা ফখরুল: আমরা আনুপাতিক হারে সংসদে সদস্য (নিম্নকক্ষ) নির্বাচনের বিষয়ে একমত নই। উচ্চকক্ষে সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে।
আনুপাতিক পদ্ধতিতে আপনারা কী কী অসুবিধা দেখছেন?
মির্জা ফখরুল: আমরা বলেছি, সংসদে আলোচনার মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে।