জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ক্যাম্পাস রাজনীতির নতুন সমীকরণে ইসলামী ছাত্রশিবির যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সংগঠনটিকে ঘিরে চলমান আলোচনা ও তাদের কর্মকাণ্ড সে কথাই বলছে।
ছাত্রশিবিরের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এতটা প্রকাশ্যে, অবাধে, চাঙ্গাভাব নিয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ জামায়াতে ইসলামীর এ ছাত্র সংগঠন আর কখনো পায়নি।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালানোর সুযোগ ছিল না।
কিন্তু ওই সময়ও ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় থেকে শিবির কর্মীরা যে গোপনে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে, সেই সত্য প্রকাশিত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের পর।
ছাত্রশিবিরকর্মীরা এবার নিজেদের সাংগঠনিক পরিচয় নিয়েই অবাধে ডাকসু নির্বাচনে নিজেদের হাজির করেছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সরকারে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব এবং ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভারসাম্যের নতুন মেরুকরণে ছাত্রশিবির এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে চলে এসেছে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।