
এবার এপ্রিলে গরম কম ছিল, কারণ কী
‘রোদির ঠ্যালায় শরীলডা পুড়ে যাচ্চে। তারপরও দুটো পয়সার জন্নি পরিশ্রম কচ্চি। তবে ভয় কচ্চে ককন আবার জ্বর-টর শুরু হয়ে যায়।’
কৃষিশ্রমিক রতন আলী খেতে কাজ করতে করতে এ কথা বলেছিলেন। না, রতন আলী সাম্প্রতিক গরম নিয়ে এ কথা বলেননি। প্রথম আলোতে গত বছরের (২০২৪) ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রতন আলী গরমে ওই কষ্টের কথা বলেছিলেন। ‘চুয়াডাঙ্গায় ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। রতন তখন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি মাঠে খেতে কাজ করছিলেন।
গেল বছরের এপ্রিলে ‘শরীলডা পুড়ে যাওয়া’ এমন গরম নিয়ে প্রতিবেদনের অন্ত ছিল না। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এমন প্রতিবেদন আসত। শুধু মাঠে কাজ করা এমন মানুষ নন; শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী, দিনমজুর ইত্যাদি নানা পেশার মানুষ তাঁদের কষ্টের কথা বলতেন। ওই মাসে গরমের একের পর এক রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছিল। রেকর্ড ভাঙার তথ্য থাকত সরকারি দপ্তরের নথিতে। বাস্তবে মানুষের জীবনযাপন হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। দেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে এমন গরম পড়েনি।
গত বছরের রমজানের ২৬ দিনের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। ঠিক এর আগের দিন ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। আবহাওয়া অধিদপ্তর তীব্র গরমের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির পরই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- গরম
- এপ্রিল মাস