You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর্যালোচনা

অর্থনীতির আলোচনায় বিনিয়োগের পরিবেশ যতটা গুরুত্ব পায়, কর্মের পরিবেশ ততটা মনোযোগ পায় না। অথচ টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের যথাযথ কর্মপরিবেশ অর্থাৎ ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মস্থল, সংগঠিত হওয়ার অধিকারসহ সব ধরনের আইনি স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

দেশের অর্থনীতির বিকাশ এমন পথে ঘটেছে যে বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে; যেখানে শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, ওভারটাইম, সবেতন ছুটি, বিমা, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির অধিকার থাকে না। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক খাতেও কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের যে মজুরি দেন, তা মানসম্পন্ন জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশও ভয়ংকর অনিরাপদ, যার ফলে নিয়মিত অকালমৃত্যু ঘটছে। কর্মস্থলে সরাসরি দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের কারণে প্রতিবছর ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করেন বহু শ্রমিক, যার কোনো হিসাব কারও কাছে থাকে না।

অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৮ নভেম্বর ‘শ্রম সংস্কার কমিশন’ গঠন করে। এই কমিশন সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে শ্রম অধিকারবিষয়ক ২৫টি ক্ষেত্রে ৪৫০ পৃষ্ঠাজুড়ে যে সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশের শ্রমিকশ্রেণির অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। এই প্রবন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ

শ্রম সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, কৃষি, গৃহভিত্তিক, অভিবাসী, স্বনিয়োজিত শ্রমিকসহ সব শ্রমিকের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক শ্রম আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দেশের সব শ্রমিকের জন্য একটি সর্বজনীন জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, মজুরি তিন বছর পরপর পুনর্নির্ধারণ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরি না দিলে শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি, আপৎকালীন তহবিল, নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ট্রেড ইউনিয়ন করার শর্ত শিথিল, স্থায়ী কাজের জন্য আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ, নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, স্থায়ী শ্রম কমিশন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।

দেশে বর্তমানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাত কোটি শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি এবং আইনি সুরক্ষা কিছুই নেই। সুপারিশে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ হলো লিভিং ওয়েজ বা জীবনী মজুরির ধারণাকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি তিন বছর পরপর জাতীয় ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। এরপর এই জাতীয় ন্যূনতম মজুরিকে ভিত্তি ধরে কাজের প্রকৃতি, খাতভিত্তিক চাহিদা, ঝুঁকি এবং অঞ্চলভেদে বিশেষ খাত ও পেশার জন্য পৃথক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে, যা কোনোভাবেই জাতীয় ন্যূনতম মজুরির কম হতে পারবে না।

বর্তমানে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হয় মালিক শ্রমিক দর–কষাকষির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে মজুরি নির্ধারণের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না। বিদ্যমান ক্ষমতাকাঠামোয় দুর্বল শ্রমিকপক্ষের বিপরীতে শক্তিশালী মালিকগোষ্ঠীর ইচ্ছাতেই মজুরি নির্ধারিত হয়।

এ পরিস্থিতির অবসানে কমিশন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি মানদণ্ড তৈরির সুপারিশ করেছে, যেখানে শ্রমিক পরিবারের মাসিক খাদ্য ব্যয়, খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় (যেমন বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ও বিনোদন) এবং ন্যূনতম মাসিক সঞ্চয় বিবেচনায় নিতে হবে। পরিবারের একক উপার্জনকারীকে বিবেচনায় নিয়ে এমন মজুরি নির্ধারণ করতে হবে যেন শ্রমিক তাঁর পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন