সংলাপ-সংস্কারে টানাপোড়েন

যুগান্তর শায়রুল কবির খান প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে দেশে চলছে সংস্কার কর্মযজ্ঞ। চলছে বৈঠক, আলোচনা আর নাগরিক সমাজে কথোপকথনও। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রে উত্তরণের যে যজ্ঞ চলমান, তা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


পরবর্তী পর্যায়ে ১৮ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠক হয় এলডিপির সঙ্গে। এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ২০০১-০৬ বিএনপি সরকারের সময় সংসদ-সদস্য এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে দল গঠন করেন। ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি আওয়ামী লীগের মহাজোটে অংশ নেন।


২০১৭ সালের ১০ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ‘২০-৩০ ভিশন’ রূপকল্প তুলে ধরেন দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রাষ্ট্র সংস্কার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। বর্তমানে ‘৩১ দফা’র ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি যুগপৎ ধারায় আন্দোলনরত রাজনৈতিক শক্তিগুলোও স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ৩১ দফাভিত্তিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করে।


বিএনপি বর্তমানে রাজনৈতিক সংস্কারের অন্যতম নৈতিক ধারক ও বাহক হিসাব সক্রিয়। যদি ঐকমত্য কমিশন বিএনপির ঐতিহাসিক ‘৩১-দফাকে’ ভিত্তি করে এগোয়, তাহলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতভাবে সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কমিশনের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলে সময়ই বলে দেবে তারা সংস্কার কোন পদ্ধতিতে শেষ করবেন।



কিন্তু সংস্কার শেষ হচ্ছে কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইতিহাসের দিকে মুখ ফেরালে আরও কিছু তাৎপর্যপূর্ণ বাঁক আমাদের সামনে উন্মোচিত হতে পারে।


২০০৮ সালের ২২ মে ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিকল্প ধারার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছিল ১/১১ সরকার। ওই সংলাপ সফল হবে না ব্যর্থ হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই ছিল জল্পনা-কল্পনা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থতার দিকটি আলোচ্য ছিল। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও সংলাপের পরিকল্পনা ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাই করা হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা কম এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্নমতের পেছনে যুক্তিসংগত কারণ ছিল। ১/১১ সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি যে বৈরিতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অনেকেই মনে করেছিলেন।


সরকারবিরোধী রাজনীতিকরা সরকারের কথা বিশ্বাস করতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, সরকার এক অংশের রাজনীতি দমন করেছে, অন্যদিকে জনবিচ্ছিন্ন ও দুর্নীতিপরায়ণ অংশকে রক্ষা করেছে।


তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্কার-সংলাপ কতখানি সফলতার দিকে যাবে। এ প্রশ্ন আমাদের ইতিহাসের দিকে টেনে নেয়। রাজনীতির ইতিহাসে ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আগে ১/১১-এর সময়ও সংস্কার-সংলাপের মুখোমুখি হয়েছিল দেশ।


এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘ঐকমত্য কমিশন’। ইতোমধ্যে কমিশনটি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে।


১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বৈঠক। এতে অংশ নেয় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের বিরোধিতাকারী বিভিন্ন দল ও জোট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও