You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রাজশাহীতে পেঁয়াজচাষির আত্মহত্যা : নেটিজেনরা ‘ধুয়ে দিচ্ছে’ পরিবারকে, বাস্তবতা ভিন্ন

স্টেশনে দুই রেললাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন পেঁয়াজচাষি মীর রুহুল আমিন (৭০) নামের এক ব্যক্তি। ট্রেন আসামাত্রই তিনি লাইনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

মীর রুহুল আমিনের আত্মহত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। আত্মহত্যা নিয়ে নেটিজেনরা ধুয়ে দিচ্ছেন তাঁর পরিবারকে। তাঁরা লিখছেন, পরিবারের অবহেলার শিকার হয়েছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন ঘটনা।

এ নিয়ে ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘ওই বৃদ্ধের স্ত্রী আট মাস আগে মারা যান। এরপর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে কিছুদিন বাবাকে রাখার পর আর রাখতে চাননি। এ নিয়ে অনেক ঝগড়া। এমনও রাত গেছে, বৃদ্ধ সারা রাত উঠানে ছিল, ছেলেরা দরজা খোলেনি। মৃত্যুর দিন সকালে দুই ছেলের বউয়ের সঙ্গে খুব ঝগড়া হয় এবং তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে ছেলেরা তাঁর জিনিসপত্র উঠানে ফেলে দেন। এরপর স্টেশনে ভোর থেকে বসেছিল। কিছু খাননি দুপুর পর্যন্ত। এরপর আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।’

কিন্তু মীর রুহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় ভিন্ন ঘটনা। তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেঁচে আছেন। ফেসবুকে নিজের মারা যাওয়ার খবর দেখে তিনি হতভম্ব। ফেসবুকে বলা হচ্ছে, তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বাস্তবে তাঁদের দুটি সন্তান, এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের ২০-২২ বছর আগে বিয়ে হয়েছে, শ্বশুরবাড়ি ঈশ্বরদীতে। ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে স্বল্প বেতনের চাকরি করেন, থাকেন সেখানেই। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মীর রুহুল আমিনের খুবই ভালো সম্পর্ক। গ্রামের বাড়িতে শুধু মা–বাবা থাকেন। ফেসবুকের এই কল্পকাহিনি দেখে তাঁরা পরিবারের সদস্যরা যারপরনাই বিব্রত।

ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন মীর রুহুল আমিন এনজিও থেকে ঋণ করে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়নি। এ নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কারও সঙ্গে ভালো করে কথাও বলেননি। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থও ছিলেন। এ সব কারণে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন