নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে চায় কারা

প্রথম আলো সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২

কয়েক দিন ধরে বিএনপি সংস্কার নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে। সংস্কার নিয়ে বিএনপির এই প্রচেষ্টাকে আমি ইতিবাচকভাবে দেখি। দলটি সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারছে যে দেশের মানুষ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর চায় এবং তারা আর পুরোনো বন্দোবস্তে ফেরত যেতে চায় না। কিন্তু যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে আমরা পুরোনো ‘নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা’র মূলে আঘাত করতে পারি, সেগুলো নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী?


বাংলাদেশে যে শাসনব্যবস্থা, সেটিকে রাজনীতিবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘কনস্টিটিউশনাল সুপ্রিমেসি’ বা সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব। অর্থাৎ এখানে সংবিধানকে সুউচ্চে রেখে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ—নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা প্রায় সমান্তরাল ক্ষমতা চর্চা করবে।


আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এই ক্ল্যাসিক বন্দোবস্তের দর্শন/ধারণাটা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ (আমরা আমজনতা যেটিকে ‘সরকার’ হিসেবে বুঝি) তারা রাষ্ট্রের সব নির্বাহী ক্ষমতা চর্চা করবে। কিন্তু তারা বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করবে না, আইনসভা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং তারা চাইলেই সহজে সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে না।


নির্বাহী বিভাগ বা সরকার আইনের মধ্য থেকে রাষ্ট্র চালাবে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়/পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। জ্বালানি/বিদ্যুৎ বিভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ওয়াসা/পানি মন্ত্রণালয় পানি দেবে, সড়ক মন্ত্রণালয় রাস্তাঘাট ঠিক করবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সীমান্ত রক্ষা করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ দেশের নিত্য যেসব প্রয়োজন, সেগুলো আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং দেশের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কিছু নির্বাচিত লোক (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) এসব মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা মন্ত্রী হিসেবে আমলাদের নেতৃত্ব দেবেন তথা তত্ত্বাবধান করবেন।


আইনসভা বা সংসদের মোটাদাগে কাজ হবে সরকার/নির্বাহী বিভাগ কোন প্রক্রিয়ায় দেশ চালাবে (ঠিক কোন আইনের আওতায়), তা ঠিক করে দেওয়া অর্থাৎ আইন প্রণয়ন করা। পাশাপাশি দেশ চালাতে যে টাকাপয়সা দরকার এবং জনগণের কাছ থেকে কতটুকু ও কীভাবে সেটি আদায় করা হবে এবং কোন কোন খাতে সেটি ব্যয় করা হবে, তা কেবল সংসদই অনুমোদন করবে। সরকার বাজেট প্রস্তাব করার মাধ্যমে এর একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া উপস্থাপন করবে এবং সংসদ সদস্যরা সেটির খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাই করবেন, দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে মেলাবেন, বিতর্ক করবেন এবং সংসদে সেটি পাস করবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও