ফুটবলকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন

কালের কণ্ঠ ইকরামউজ্জমান প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৬

দীর্ঘ পথচলায় অনেক কিছু বদলে গেছে, বদলে যাবে, সম্ভবত মধ্যবিত্ত বাঙালির ফুটবল পরিচালনা, খেলার প্রতি ভালোবাসা, অযৌক্তিক আবেগ, উচ্ছ্বাস, প্রাণের আকুতি, চিন্তা-ভাবনা, বিভিন্ন ধরনের স্ববিরোধিতা, বিভাজন এবং অদ্ভুত এক ধরনের স্পর্শকাতরতা থেকে খেলাটি যে কবে মুক্তি পাবে, এটি বিধাতা ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। শত বছরেরও অনেক আগের সেই দিনগুলোর অচল ও অকার্যকর সংস্কৃতি খেলাটি বহন করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। এদিকে ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রেক্ষাপট পুরোপুরি পাল্টে গেছে।


বুঝে না বুঝে সব কিছুতে নাক গলানো, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিজেকে সবজান্তা ভেবে পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের সেই পশ্চাৎপদ সংস্কৃতি এখনো পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে বাঙালির ফুটবলে।


বাঙালি এখনো ঘুমিয়ে আছে অতীতের সেই সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে ফুটবলচর্চার কোলবালিশে মাথা রেখে। এতে বাঙালির প্রিয় খেলা ফুুটবলে কখনো স্থিতিশীলতা আসেনি। খেলাটিকে নিয়ে ভাবা হয়নি টেকসই উন্নতির কথা। বাঙালি কখনো আয়নায় মুখ দেখতে চায়নি।


ফুটবলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কার্যকর পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ—এই বিষয়গুলো আবেগের ফুটবলে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। আত্মতৃপ্তি আর তথাকথিত উচ্ছ্বাসের ফুটবল তাই সব সময় চৌবাচ্চায় ঝাঁপাঝাঁপি করে স্রেফ মূল্যবান সময় পার করে দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবলের প্রেক্ষাপট ও আবেদন যে বদলে গেছে, দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনায় এই বিষয়টি আমল পায়নি। এখনো বাঙালির কাছে ক্লাব ফুটবলই সব।


সব নাচানাচি ও হৈচৈ ক্লাব ফুটবলকে ঘিরে। কিন্তু এখানেও তো ভীষণ গলদ আর সীমাবদ্ধ চিন্তা-ভাবনা। স্বার্থের দ্বন্দ্ব, বিভাজন, হিংসা, দোষারোপের খেলা সব সময় বিদ্বেষ ছড়ানো আর পরশ্রীকাতরতার মধ্যে হাবুডুবু খাওয়া। চিন্তা করার ক্ষমতার বড় বেশি অভাব। ফুটবলের উজ্জ্বল আকাশের দিকে না তাকিয়ে সব সময় নিচের দিকে তাকিয়ে চলা।


স্বপ্ন দেখতে পারাটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি—এই বিষয়ে অজ্ঞতা। ফুটবলে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে উদাসীনতা।


প্রথম থেকেই ক্লাব ফুটবলকে স্বার্থপর হিসেবে লালন-পালন করা হয়েছে। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে সময়ের চাহিদায় এটির প্রয়োজন ছিল। একটা সময় থেকে তো এই প্রয়োজনীয়তা আর দরকার হয়নি। তা সত্ত্বেও অন্যের ভালো দেখা, যেটি ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে, সেই ক্ষেত্রেও বিরোধিতা, মনগড়া বিদ্বেষ ছড়ানোর সংস্কৃতি থেকে ফুটবল বেরিয়ে আসতে পারেনি। পিছে লাগার অভ্যাস বাঙালির ফুটবলে এখনো সর্বজনস্বীকৃত। ফুটবলে নৈতিক মূল্যবোধের ভীষণ অভাব। সাবেক খেলোয়াড়, স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তারা ক্লাব ও ফুটবলের সার্বিক অবস্থা ঘিরে অসুস্থ চিন্তা-ভাবনা বা এসব কিছু দেখেও এই বিষয়ে প্রতিবাদ করার বদলে তথাকথিত ‘ভালো সাজার জন্য’ অনেক কিছু অর্জন করার চেষ্টা করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও