ফিফা কেন ইসরায়েলকে শাস্তি দেয় না
১৯৭৬ সালের মার্চ মাস। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে আর্জেন্টিনায় সামরিক জান্তার ক্যুতে উৎখাত হলো ইসাবেল পেরন সরকার। দুই দিন পর ফিফা সভাপতি বললেন, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্জেন্টিনা ‘এখন আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত’।
হোর্হে রাফায়েল ভিদেলার সেই স্বৈরশাসনে প্রায় এক দশক রক্তপাত চলে আর্জেন্টিনায়। ‘নিখোঁজ’ হন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির হর্তাকর্তারা এতে গা করেননি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপ শেষে টুর্নামেন্টটির আয়োজকদের অন্যতম আর্জেন্টিনা নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল কার্লোস লাকোস্তেকে সহসভাপতি বানায় ফিফা।
চলতি মাসের (মার্চ) শেষ দিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করবে (হয়ে গেছে) ইসরায়েল। প্রতিযোগিতাটি থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান প্রতিহত করার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ফিফা। সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার হিসেবে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) অন্ধকার ইতিহাস আছে।
ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) ১৯৯৮ সালে ফিফার সদস্যপদ পাওয়ার সময় থেকে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারত্ব দেখেও দেখছে না ফিফা, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি ফিফার প্রতিশ্রুতির সরাসরি লঙ্ঘন। দশকের পর দশক ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) ইন্ধনে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছে ফুটবল ক্লাবগুলো, যা পরিষ্কারভাবে ফিফার আইনের পরিপন্থী। যেখানে বলা হয়েছে, ‘সদস্য অ্যাসোসিয়েশন এবং তাদের ক্লাবগুলো আরেকটি সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের অঞ্চলে তাদের অনুমতি ছাড়া খেলতে পারবে না।’