ঈদুল ফিতরের নামাজ যেভাবে পড়বেন

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৪৬

আল্লাহ তায়ালা মুসলামানদের বছরে দুটি আনন্দ দান করেছেন। একটি হলো ঈদুল ফিতর অপরটি ঈদুল আজহা। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন মদীনাবাসীকে বছরে দুইদিন উৎসব করতে দেখেন। রাসূল (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এই দুইদিন উৎসব করো কেন? তারা বলল, জাহেলী যুগে এ দুইদিন আমরা আনন্দ উৎসব করতাম। রাসূল (সা.) বললেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে এ দুইদিনের বদলে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৪)। 


ঈদ প্রসঙ্গে হাসান বসরী রহ. বলেন, ঈদুল ফিতর হলো ঈদের নামাজ পড়া ও সদকাতুল ফিতর আদায় করা এবং ঈদুল আযহা হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়া ও কুরবানি করা। (ফাযাইলুল আওকাত : বায়হাকী, পৃষ্ঠা ৩০৩-৩০৪)।


ঈদের নামাজ দুই রাকাত আর তা ওয়াজিব। এতে আজান-ইকামত নেই। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। (বুখারি, হাদিস : ১/১৩১; ফাতাওয়া শামি : ১/৫৫৫, ১/৫৫৭; আল মুহাজ্জাব, হাদিস : ১/৩৮৮)।


সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত; যেন নামাজের আগেই বেশি থেকে বেশি সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির : ২/৭৩, আল মুগনি : ২/১১৭)


ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘ছানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এ তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুকতাদি সবাইকে হাত উঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রত্যেক তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।


কারো ঈদের নামাজ ছুটে গেলে শহরের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিশেষে যদি নামাজ ছুটেই যায়, তাহলে এর কোনো কাজা নেই। তবে চার রাকাত এশরাকের নফল নামাজ আদায় করে নেবে এবং তাতে ঈদের নামাজের মতো অতিরিক্ত তাকবির বলবে না। (ফাতাওয়া শামি : ১/৫৬১)


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও