
পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় বাস্তুকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন
উত্তর-মধ্য/পশ্চিম চীনের বিখ্যাত মালভূমির নাম ‘লোয়েস মালভূমি’। চীনা ভাষায় জায়গাটির নাম ‘হোয়াংচু গোয়ান’। এর আয়তন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বর্গকিলোমিটার। দূর অতীতে অরণ্য, তৃণভূমি, জলাশয়যুক্ত লোয়েস মালভূমি ছিল বাস্তুতাত্ত্বিক ভারসাম্যে পরিপূর্ণ একটি অঞ্চল।
চৈনিক সভ্যতার ইতিহাসে লোয়েস মালভূমিকে ফসলের জন্য অন্যতম উর্বর অঞ্চল বলে অভিহিত করা হয়েছে। একসময় প্রচুর ফসল হতো এই অঞ্চলে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এই মালভূমির অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। ক্রমাগতভাবে এখানকার অরণ্য, তৃণভূমি, জলাশয় তথা বাস্তুতত্ত্ব ধ্বংস করে ফসলের এলাকা বৃদ্ধি করা হয়।
ফলে পৃথিবীর অন্য অনেক জায়গার মতো এখানেও বাস্তুতাত্ত্বিক ভারসাম্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই বিশৃঙ্খলা আরো চরম ও তীব্র আকার ধারণ করে যখন মাও জেদং তাঁর ‘মহান উল্লম্ফন নীতি’র (গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড : ১৯৫৮-১৯৬২) আওতায় দেশে শিল্প ও কৃষি বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন। এই কর্মসূচির আওতায় চীনের লোয়েস মালভূমির অবশিষ্ট গাছপালা উজাড় করে সেখানে সবুজ ফসলের ক্ষেত আরো বিস্তৃত করা হয়। ধারণা করা হয়েছিল যে এর দ্বারা সেখানকার ক্ষয়িষ্ণু মাটি রক্ষা করা সম্ভব হবে, কিন্তু তা হয়নি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বাস্তুতন্ত্র