উঁচু উঁচু পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তারাছা খাল। রোয়াংছড়ি বাজার থেকে নেমে সেই খাল ধরেই আমরা হাঁটছি। নিঃশব্দ পাহাড়ি প্রকৃতি। খালের স্বচ্ছ জলে পা ফেলে ফেলে এগিয়ে চলেছি। হাঁটতে হাঁটতে একসময় নিজেদের পায়ের শব্দই কানে বাজতে থাকে।
দলে আমরা নানা বয়সী ১৮ জন নারী। সবার পেশাও আলাদা। রোয়াংছড়ি থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দুজন স্থানীয় গাইড। তাঁদের দেখানো পথেই আমরা পা ফেলছি। দেবতাখুম ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বেশ কয়েকবার এসেছি। মনে হলো আগের চেয়ে প্রকৃতি আরও রূপসী হয়েছে। দীর্ঘদিন পর্যটকদের পা না পড়ায় পথের ধারে বড় বড় বুনো ঘাস ও লতাপাতা জন্মেছে। কিছু জায়গা পরিষ্কার করে স্থানীয়রা বাদাম চাষ করেছেন। ঝিরির পাশে এক বাদামচাষির সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি কিছু কাঁচা বাদাম হাতে তুলে দিলেন। পাহাড়ি বাদাম চিবুতে চিবুতে ঘণ্টাখানেক পর পৌঁছে গেলাম শীলবান্ধা পাড়ায়। বেলা তখন ১১টা।