অস্বাভাবিকভাবে নিচে নামছে পানির স্তর, ভূমিধস বাড়ার শঙ্কা

যুগান্তর প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৪

পুকুর, দিঘি, জলাশয় ভরাট, দ্রুত নগরায়ণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের অভাব, অপরিকল্পিতভাবে পানি উত্তোলনের ফলে দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে সুপেয় পানির উৎসও ক্রমাগত কমছে। ভূগর্ভস্থ পানির বিকল্প হিসেবে তথা ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ রক্ষা করতে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


শুধু ভূগর্ভস্থ পানি নয়, দেশের সার্বিক পানি ব্যবস্থাপনার চিত্র ভয়াবহ। রাজধানী ঢাকায় সরবরাহ করা পানিই না ফুটিয়ে পান করা যায় না। চট্টগ্রাম শহরের পানি লবণাক্ততায় বিষিয়ে তুলেছে ওই জনপদের জনজীবন। রাজশাহীর পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ। খুলনায় সরবরাহ করা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পানি না ফুটিয়ে পান করা যায় না। রয়েছে লবণাক্ততাও। গভীর নলকূপের পানিও নিরাপদ নয়, আর্সেনিক ও লবণাক্ততায় ব্যবহার করা দুষ্কর। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বিশ্ব পানি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের পানি দিবসের প্রতিপাদ্য-হিমবাহ সংরক্ষণ।


এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতি দুর্যোগ মোকাবিলাসংক্রান্ত গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক এসএম মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার শহরাঞ্চলে নিত্য ব্যবহৃত কাজ এবং গ্রামাঞ্চলে কৃষিতে বেড়ে গেছে। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এটা প্রতিরোধে ভূ-উপরিস্থ উৎসের পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।


সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় মিঠা পানি সমৃদ্ধ বাংলাদেশেও সুপেয় পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকার মানুষ সুপেয় পানির বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। খরার মৌসুমে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও নিরাপদ পানি মিলছে না। সরকারের জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থাও তা স্বীকার করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ ভাগ অর্থাৎ ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ২২০ জন মানুষ সুপেয় পানি সুবিধার আওতায় এসেছে। আর সুপেয় পানি সুবিধার বাইরে রয়েছে ৪১ ভাগ অর্থাৎ ৬ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ জন মানুষ। এখনো দেশের ১০ ভাগ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। নিরাপদ ভেবে বিষযুক্ত পানি পান করে প্রতিবছর নিয়মিত আর্সেনিক জরিপ পরিচালনা না করায় জনমনে আতঙ্ক ও ভয় কাজ করে। দেশের পানি ব্যবস্থাপনা ও সুপেয় পানি সরবরাহের সার্বিক চিত্র বলে দেয়, কোনো পানিকে নিরাপদ ভেবে পান করা যাচ্ছে না।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও