 
                    
                    পুলিশের প্রতি বার্তা ও মাঠের বাস্তবতা
পুলিশকে শক্ত থাকার বার্তা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বাহিনীর যে বদনাম হয়েছে সেখান থেকে তাদের বের হতে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাত মাসেরও বেশি সময় পর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশেষ এ বৈঠকে বাহিনীর ১২৭ কর্মকর্তা অংশ নেন। সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ‘নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে হবে। যেহেতু নির্বাচন আসছে, নানা সমস্যা হবে, নানা চাপ আসবে। সবাই বেপরোয়া হয়ে যাবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ প্রধান উপদেষ্টার পুলিশ বাহিনীকে ‘শক্ত হওয়ার’ নির্দেশ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, পুলিশ কি শক্ত হওয়ার মতো অবস্থায় আছে? মাঠের বাস্তব অবস্থাই বা কেমন?
বাস্তব পরিস্থিতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এখন এক বৈরী পরিবেশের মুখোমুখি। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাহিনীর একটি বড় অংশ নৈতিক মনোবল হারিয়ে ফেলে, যা এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি। তাদের মধ্যে আস্থার সংকট বিরাজ করছে। এর প্রধান দায়ভার পতিত স্বৈরাচার সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার। আর অনেকখানি দায়ভার বর্তায় অতিউৎসাহী ও রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট শীর্ষ এবং মধ্যম সারির বিরাট সংখ্যক কর্মকর্তার ওপর। এই কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে জুলাই হত্যাকা-ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ দমনে ১৮ থেকে ২১ জুলাই টানা চারদিন নির্বিচারে গুলিবর্ষণের প্রধান অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। হত্যাকা-ের কিছু কিছু ঘটনা সারা দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- পুলিশ সদস্য
- পুলিশ কর্মকর্তা
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                