যে কারণে আওয়ামী লীগ বারবার গণবিরোধী হয়ে ওঠে

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৬

রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের থাকা না–থাকা নিয়ে বিস্তর আলাপ–আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ নমনীয় অবস্থানে থাকলেও রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আর ফেরার সুযোগ নেই বলে অনেকেই মনে করছেন। তাঁদের যুক্তি, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আর দেশের রাজনীতি পুনর্বাসিত হওয়া সম্ভব নয়।


বারবারই দেশের মানুষের রক্তে আওয়ামী লীগের হাত রঞ্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশে মানুষ সবচেয়ে বেশি খুন, হত্যা ও গুমের শিকার হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ এটা শুরু করেছে।


যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগই প্রথম পুলিশ ও রক্ষী বাহিনী দিয়ে হত্যা ও গুম শুরু করে। পরবর্তী সময়ে দুই দফায় ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের একই অভ্যাস বজায় ছিল।


আওয়ামী লীগ সব সময়ই নিজ সমর্থক গোষ্ঠীর বাইরের অংশকে দমনের চেষ্টা করেছে। এটা তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরপরই শুরু করে। তারা সব সময়ই কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। যে কারণে জনগণকে সব সময় প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করেছে।


জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময়ও আওয়ামী লীগ নির্বিচারে দেশের মানুষকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে। আপাতত মনে হতে পারে, আওয়ামী লীগ তো এ দেশেরই রাজনৈতিক দল। কিন্তু জনসাধারণকে সব সময় প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে কেন? সব সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চায় কেন?



এ দুই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারলেই আওয়ামী লীগের খুনি চরিত্রের হিসাব মেলানো যাবে। মূল বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক দলে হলেও মূলত ভারতপন্থী দল হিসেবে পরিচিত। দলটি বরাবরই নিজ দেশের মানুষের স্বার্থের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। এ কারণে বরাবরই দলটি জনসাধারণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।


আওয়ামী লীগ মূলত ভারতের নীতি–কৌশল সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ হিসাবে বলা যায়, আওয়ামী এই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। পারা সম্ভবও নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভারতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল–আদর্শের ছাপ দেখা যায়। কংগ্রেস যেমন ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে পরিচিত; আওয়ামী লীগও নিজেদের অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। কিন্তু এই দুটি দলই দুই দেশে ক্ষমতায় থাকাকালে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। দুই দলই ধর্মকে প্রয়োজনের সময় রাজনীতিতে ব্যবহার করেছে। আবার দুই দলই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের বলে মনে করত।


দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আওয়ামী লীগ ভারতের একধরনের সম্প্রসারিত অংশে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের রাজনীতির জন্য শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, এ ধরনের রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকা দেশের ভবিষ্যতের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ঝুঁকিপূর্ণ একটি দল।


সামরিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। ভূরাজনীতি ও সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে ভারত। এরপর মিয়ানমারের অবস্থান। ভবিষ্যতে সরাসরি যুদ্ধ হলে এ দুই দেশের সঙ্গেই হবে। এর বাইরে তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা কম, যদি না বিশ্বের বড় কোনো শক্তি বাংলাদেশ দখল না করে বা হামলা না করে। ভারত ও মিয়ানমার অতিক্রম করে এসে চীন বাংলাদেশে হামলা করবে না। অথবা যুক্তরাষ্ট্রও এসে দখল করবে না। ইরাক, আফগানিস্তান বা লিবিয়ার মতো অবস্থা বাংলাদেশের হবে না বলেই মনে করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও