রমজানে রোজা রাখতে হয় বিধায় অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। এ সময় কর্মোদ্যম রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। আর এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের সাবেক প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো। সেটি লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন।
কী সেই পরামর্শ, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
পর্যাপ্ত ঘুম
কর্মজীবীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয় ঘুম নিয়ে। রমজানে এশার পর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে তারাবি পড়তে হয়। শেষ রাতে ঘুম থেকে জেগে খেতে হয় সাহরি। ফজর নামাজ পড়তে হয়।
কাজ ভাগ করে নেওয়া
গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, কল, ভিডিও কনফারেন্সসহ যেসব কাজে বেশি এনার্জি ও মনোযোগ দরকার, সেগুলো দিনের প্রথম ভাগেই সেরে ফেলুন। বেশি জরুরি ও জটিল কাজগুলো আগে করুন, তাহলে মানসিক চাপ কম হবে। অস্থিরতায় ভুগতে হবে না।
অনলাইনে কাজ
যেসব কাজ জুম বা গুগল মিটের মাধ্যমে করা সম্ভব সেগুলো অনলাইনেই সেরে নিন। এতে আর অযথা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে শরীরের শক্তি অপচয় করতে হবে না। এই সময়টুকু অন্য আরেকটা কাজে লাগান। সবচেয়ে ভালো রমজানে কাজের একটা তালিকা করে সে অনুযায়ী আগেই একটি পূর্ব প্রস্তুতি সেরে ফেলা। এতেও কিন্তু সময় ও শ্রম অনেক কম লাগবে।
অফিসের কাজ বাসায় টেনে না আনা
অফিসের কাজ বাসায় বয়ে আনবেন না। অনেক সময় কর্মীদের বাসায় এসেও রাতে অফিসের কাজ করতে হয়। এটা আপনাকে আরো ক্লান্ত ও অবসন্ন করে ফেলবে। সময়মতো অফিসে পৌঁছে নির্ধারিত সময়ে আপনার অফিসের কাজ অফিসেই সেরে ফেলার চেষ্টা করুন।