আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কমেছে নিবন্ধনের গতি। গত ছয় মাসে নতুন নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র এক হাজারের মতো। নিবন্ধনের গতি কমলেও প্রতিনিয়ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে টাকা জমার পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমাণও। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করা অর্থ চাঁদা বাবদ জমা পড়া অর্থের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে।
প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা— এই চার স্কিমে এরই মধ্যে তিন লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা জমা দিয়েছে। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ১৬১ কোটি টাকার কিছু বেশি। বিপরীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে সরকারি বিভিন্ন ট্রেজারি বন্ড ও বিলে এরই মধ্যে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১৬৪ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, চাঁদা বাবদ যে অর্থ জমা পড়েছে বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা বেশি। জমা হওয়া চাঁদার চেয়ে বিনিয়োগ বেশি হওয়ার কারণ সরকারি ট্রেজারি বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করে যে মুনাফা পাওয়া গেছে, সেই অর্থও বিনিয়োগ করা হয়েছে।