প্রসঙ্গ ইতিবাচক প্যারেন্টিং

ঢাকা পোষ্ট ফারহানা মান্নান প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০২

একজন রেজিস্টার্ড মনোবিজ্ঞানী অথবা ক্লিনিক্যাল সামাজিককর্মী প্যারেন্টিং বিষয়ে অভিজ্ঞ। এই অভিজ্ঞ মানুষ হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যার এ বিষয়ে পেশাদার প্রশিক্ষণ রয়েছে। একই সাথে পারিবারিক সমস্যা সম্বন্ধে নানা অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কাজেই প্যারেন্টিং বিষয়ে কথা বলতে গেলে, পরামর্শ দিতে গেলে পেশাদারি প্রশিক্ষণ লাগবেই!


নানা কারণেই একুশ শতকে ইতিবাচক প্যারেন্টিং নিয়ে আলোচনা, আগ্রহ ও কনসার্ন হাইপ হয়ে উঠেছে। এর একটা বড় কারণ মুঠোফোন, ইন্টারনেট, ডিজিটাল কনটেন্টসহ আরও অনেক কিছুই! চলমান সমাজ ব্যবস্থা এবং সমাজে বসবাসকারী অভিভাবকদের সম্পর্কে একজন মনোবিজ্ঞানী চমৎকার ধারণা রাখেন।


নানা সময় টেলিভিশনের পর্দায় বা মুখোমুখি আলোচনায় এমন সব সমস্যা সাধারণ মানুষের সামনে উঠে এসেছে। বেশ ইতিবাচকভাবেই কিছু অভিভাবকদের মধ্যে প্যারেন্টিং সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়েছে।


প্যারেন্টিং আসলে কী নিয়ে কথা বলে? প্যারেন্টিং-এর সাধারণ সমস্যাগুলো হলো রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা, ট্যানট্রাম, আচরণগত সমস্যা, দুর্বল যোগাযোগসহ নানা কিছু। একজন অভিভাবকের দায়িত্ব হলো শিশুকে বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করা। শিশুকে সঠিকভাবে লালন পালন করা যাতে তার বিকাশ নিশ্চিত হয়। শিশুকে সুরক্ষা প্রদান করা। নানা রকম বিকাশের দিকগুলো বিবেচনায় রেখে যত্ন প্রদান করা।


শিশুদের বড় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একজন অভিভাবক নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। এই মুহূর্তে বেশ আলোচিত—মুঠোফোনের অধিক ব্যবহার বা অ্যাডিকশন।



একজন মনোবিজ্ঞানী স্মার্টফোন অ্যাডিকশন সম্পর্কে অভিভাবকদের সাথে কথা বলবেন, পরামর্শ দেবেন। খারাপ চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আচরণগুলো পরিবর্তনে পরামর্শ দেবেন। এখন একজন শিক্ষা গবেষক হিসেবে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বাড়ির পরিবেশ বুঝে নানা রকমের খেলা, এক্টিভিটি বা সময় কাটানোর টেকনিক সম্পর্কে ভেবে, ডিজাইন করে শিশুকে ইতিবাচকভাবে সময় কাটানোর দিকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটিই এ মুহূর্তে করে যাচ্ছি।


মূল বিষয়টি যদি হয় আসক্তি কমানো সেক্ষেত্রে কীভাবে কমানো যায়, আসক্তির ধরন কেমন, বাবা-মায়ের মধ্যে আসক্তি সম্পর্কে ধারণা স্পষ্টকরণ, ঠিক কোন কোন আচরণের ভিত্তিতে বলা যায় একজন শিশু মোবাইলের প্রতি আসক্ত; সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভের জন্য অথেনটিক সোর্স হলো একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানী।


তার পরামর্শের ওপর ভিত্তি করেই অভিভাবক শিশুর জন্য সঠিক প্রতিষ্ঠানটি খুঁজে বের করবেন। যেখানে শিশু খেলবে, সময় কাটাবে। শিশুর খেলা ও সময় কাটানোর এ জায়গায় একজন আর্লি চাইল্ডহুড বিশেষজ্ঞ কাজ করতে পারেন। তিনি নানা ধরনের খেলার ম্যাটেরিয়াল শিশুর আগ্রহের জায়গাগুলো কেন্দ্র করে তৈরি করতে পারেন।


শিশুর অভিভাবককে শিশুর সাথে খেলার ও সময় কাটানোর ধরন সম্পর্কে হাতেকলমে শেখাতে পারেন। শিশুর বিকাশ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করার মাধ্যমে নতুন কোনো খেলার ধারণা, পরিকল্পনা, ডিজাইন করতে পারেন। একজন শিক্ষা গবেষক নানাভাবেই ইতিবাচক প্যারেন্টিং-এর ক্ষেত্রে ইনপুট দিতে পারেন।


এখন কয়েকটি কেস স্টাডি নিয়ে আলোচনা করা যাক। একজন শিশুর নাম শোয়েব (ছদ্ম নাম)। শিশুর বাবা বাইরে চাকরিজীবী এবং মা ঘরে। শিশুটির বয়স যখন ৩ বছর তখন তাকে একটি স্কুলে দেওয়া হয়। প্রথমদিন ক্লাসে ঢুকেই কিছুক্ষণ পরপর মোবাইলের নেশায় সে ছুটে যাচ্ছিল অপেক্ষারত মায়ের কাছে। মাকে অনুরোধ করছিল ফোনটি দিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও