
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হৃদয়ের রক্তমাখা শার্ট দেখে কাঁদলেন মা–বাবা দুজনেই
‘আমার থেইকা টাকা নিয়ে ৪০০ টাকা দিয়া হৃদয় এই শার্ট কিনছিল। আনার পর বলছিল, তোমার টাকা দিয়া এই শার্ট কিনছি।’ ছেলের রক্তমাখা শার্টের দিকে তাকিয়ে মা অর্চনা রানী ফুঁপিয়ে উঠে কথাগুলো বলেছিলেন। অর্চনা রানীর ছেলে হৃদয় চন্দ্র তরুয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন। স্বামী রতন চন্দ্র তরুয়া, মেয়ে মিতু রানীসহ প্রথমবারের মতো তাঁরা ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন। ক্যাম্পাসের সব জায়গায় যেন তাঁদের ছেলের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানকারই জাদুঘরে এসে দেখলেন ছেলের রক্তমাখা জামা, পরনের বেল্ট।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আমন্ত্রণে হৃদয় তরুয়া ও তাঁর আরেক শহীদ সতীর্থ ফরহাদ হোসেনের মা-বাবা আজ বৃহস্পতিবার এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। উপলক্ষ ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা। বেলা তিনটায় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। এর আগে দুই শহীদ শিক্ষার্থীর মা-বাবা ও স্বজনেরা বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কক্ষ ঘুরে দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের উদ্যোগে এটির উদ্বোধন হয়েছিল গত অক্টোবরে। এই কক্ষে শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও মো. ফরহাদের ব্যবহৃত জিনিসসহ প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। পাশাপাশি আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শহীদ হৃদয় তরুয়ার রক্তমাখা শার্ট, প্যান্ট ও বেল্ট সংগ্রহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর।