ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে আইসিবি কাজ করছে
আবু আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান। অধ্যাপক আবু আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। তিনি সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের (বর্তমানে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পরিবেশ, আইসিবি নিয়ে তার পরিকল্পনা ও সাম্প্রতিক অর্থনীতির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম
আপনি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এখন পর্যন্ত কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
বিগত সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সেগুলো থেকে তেমন কোনো রিটার্ন আসেনি। এমনকি আইসিবির মতো একটি ভালো প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এ প্রতিষ্ঠানকে কেউ ঠিক করতে পারবে না। কারণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি পোর্টফোলিওতে এসেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা জাঙ্ক স্টক, যার ৭৭ শতাংশই নেই অর্থাৎ ক্ষয় হয়ে গেছে। আবার এগুলো উচ্চ সুদে ঋণ করা অর্থ। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকও রয়েছে। যখন আইসিবির প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো উদ্বৃত্ত ছিল। এর কিছু অর্থ ব্যাংকে রাখা হয়েছিল। তবে এ অর্থ এখন আইসিবি পাচ্ছে না। নিজের অর্থই ব্যাংক থেকে পাচ্ছে না, আবার বাজারকে সহায়তার জন্য উচ্চ সুদে টাকা আনছে আইসিবি। এ টাকার বিষয়ে কর্মকর্তাদের যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তারা বলেছে, সেই সময় তারা এটি করতে বাধ্য হয়েছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাইরের প্রভাবশালীরা চেয়েছিল। তারাই এগুলো এনে বিক্রি করেছে এবং তারাই এক সময় অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের শুধু সেগুলো নিতে হয়েছে। কিন্তু আইসিবির কোনো লাভ হয়নি। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি বেঁচে থাকার কথা নয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- পুঁজিবাজার