লুক্কায়িত খরচে হাত দিচ্ছে না সরকার, উল্টো জনপরিষেবায় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে ১৬ বার। পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরায় ১৪ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দামও। এতবার এসব জনপরিষেবার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিগত সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম, লুটপাট এবং লুক্কায়িত বা গোপন নানা ব্যয়কে (হিডেন চার্জ) দায়ী করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও এসব জনপরিষেবার দাম বাড়ানোর নানা উদ্যোগ, প্রস্তাব ও পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। এসব ব্যয়ের কারণ অনুসন্ধান ও তা কমানোর উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো জনপরিষেবাগুলোর মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সংগঠনগুলোর ভাষ্যমতে, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনসাধারণের বড় প্রত্যাশা ছিল উচ্চ মূল্যস্ফৃীতির তীব্র চাপ থেকে রেহাই দিতে নাগরিকদের ইউটিলিটি বা জনপরিষেবা খাতের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য খাতগুলোর দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধের পাশাপাশি অযাচিত ব্যয় কমিয়ে আনা হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আমলে সে পথে না গিয়ে জনসাধারণের ব্যয়ের বোঝা আরো বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ জনজীবনকে আরো খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে। অভ্যুত্থানে পতিত বিগত সরকারের বিভিন্ন সময়ে নেয়া প্রকল্পগুলোয় অনেক হিডেন চার্জ বা লুক্কায়িত খরচ যুক্ত হয়েছে। এগুলোকে যৌক্তিকতার নিরিখে পর্যালোচনা হওয়া উচিত। সেটি করা গেলে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানিতে খরচ কমানো অনেকাংশেই সম্ভব ছিল।