ব্রিকস কি বিশ্বরাজনীতির নতুন কেন্দ্র হতে পারবে

প্রথম আলো জোসেফ এস নাই প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৫

২০২৫ সাল হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করবে: ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) কি বিশ্বরাজনীতিতে নতুন শক্তির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে? গোষ্ঠীটি নতুন সদস্য (মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) যুক্ত করে এখন বিশ্বের ৪৫ শতাংশ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছে।


ফলে, কেউ কেউ মনে করছেন, এটি ‘গ্লোবাল সাউথ’ বা ‘বিশ্ব দক্ষিণ’–কে একত্র করে আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। তবে এমন দাবির ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।


২০০১ সালে যখন জিম ও’নিল (তৎকালীন গোল্ডম্যান স্যাকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ) ‘বিআরআইসি’ বা ‘ব্রিক’ শব্দটি প্রবর্তন করেন। তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কেবল চারটি উদীয়মান অর্থনীতিকে চিহ্নিত করা, যেগুলো ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আধিপত্য বিস্তার করার সম্ভাবনাকে ধারণ করে।


কিন্তু শব্দটি দ্রুত রাজনৈতিক গুরুত্ব অর্জন করে। এটি প্রথম ২০০৬ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয় এবং পরে ২০০৯ সালে প্রথম ব্রিক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক সংগঠনে রূপ নেয়।



রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল একটি বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। এখনো সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে। পরবর্তী বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এর সঙ্গে যুক্ত হলে গোষ্ঠীটি ‘এস’ যুক্ত করে ‘ব্রিকস’ নামে পরিচিত হয়।


ওয়াল স্ট্রিটের একটি আর্থিক ধারণা (অ্যাসেট ক্লাস) ধীরে ধীরে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। কারণ, এটি রাশিয়া ও চীনের বিকাশমান বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছার সঙ্গে মিলে গেছে।


২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৬তম শীর্ষ সম্মেলন প্রথমবারের মতো নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছে (সৌদি আরব এখনো গোষ্ঠীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং আর্জেন্টিনার নতুন সরকার অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে)।


৩৬টি দেশের নেতা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই সুযোগে তুরস্কও এই গোষ্ঠীর সদস্যপদের আবেদন উপস্থাপন করেছে।


২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলনে ‘গ্লোবাল সাউথ’ বা ‘বিশ্ব দক্ষিণ’–এর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও