সারবাহী জাহাজে ৭ খুন, ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত

কালের কণ্ঠ চাঁদপুর প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৯

চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীর ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা ‘এমভি আল-বাখেরা’ নামের একটি সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড। পুলিশ ও মালিকপক্ষ জানিয়েছে, শুধু সাতজন খুন হয়েছেন, সার লুট করা হয়নি। জাহাজের বাকি সবই অক্ষত আছে। এতে পুলিশ ও মালিকপক্ষ হতবাক! এত মানুষকে কেন খুন করা হলো প্রশ্ন সাধারণ মানুষেরও।


‘এমভি আল-বাখেরা’ জাহাজটি মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন জাহাজ। আল-বাখেরার ধারণ ক্ষমতা ৮০০ টন। এটি চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে মালামাল পরিবহন করে থাকে। ঢাকার দোহারের মাহবুব হোসেন ও আত্মীয়রা এ জাহাজের মালিক। এ মালিকের মালিকানাধীন অন্য জাহাজ ‘এমভি মুগনি-৩’।


পুলিশ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত সাতজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এতে নিহত হন জাহাজের মাস্টার এনামুল কিবরিয়া। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।

ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন, তিনি নড়াইলের বাসিন্দা। সুকানি আমিনুল মুন্সি ও মো. জুয়েল। গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, আজিজুল হক ও মাজেদুল ইসলাম।


লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল জানায়, ১৯ ডিসেম্বর আল-বাখেরা নামের জাহাজটি ইউরিয়া সার পরিবহনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৮০০ টন।




জাহাজটির পণ্য পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স হামিদিয়া এন্টারপ্রাইজ। বরাদ্দ পাওয়ার পর জাহাজটিতে ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর কাফকো জেটি থেকে ৭২০ টন ইউরিয়া সার বোঝাই করা হয়। রবিবার ভোরে জাহাজটি সার নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয়। এই সার ছিল বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি)।


নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘৯৯৯-এর কল পেয়ে জাহাজটি উদ্ধার করতে যায় নৌ পুলিশ। কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ জাহাজটি থেকে আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে ৫ জনের লাশ এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তথ্য মতে আরো দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন নিহতের সংখ্যা ৭ জন। আমরা জানতে পেরেছি, জাহাজটিতে আটজন লোক ছিল।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও