মহার্ঘ ভাতা: বেসরকারি খাতের কর্মীরা কি অনাদরেই পড়ে থাকবেন

প্রথম আলো প্রতীক বর্ধন প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৬

সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে, এই খবরে বেসরকারি খাতের কর্মীদের বক্ষ আবারও দুরুদুরু করতে শুরু করেছে। গত দুই বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির পর এখন সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে যদি আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়ে, এই ভয়ে।


সরকার নিজের কর্মচারীদের বেতন বাড়াবে বা তা না পারলে মহার্ঘ ভাতা দেবে, তাতে অন্যদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমাদের মতো দেশে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়লেও অন্যদের বাড়ে না; মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আসে বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।


বাজারের ধারণা, দেশের সবাই যেন সরকারি চাকরি করে। সে জন্য যখনই সরকার পেস্কেল বা মহার্ঘ ভাতা দেয়, তখনই বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়ে যায়। অতীতে প্রায় সব সময় এই প্রবণতা দেখা গেছে। এর জন্য অবশ্য পেস্কেল বা মহার্ঘ ভাতা দায়ী নয়, দায়ী বাজার ব্যবস্থা।


বাস্তবতা হলো, গত দুই বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় দেশে যেমন দারিদ্র্য বেড়েছে, তেমনি অনেক সচ্ছল মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন।



সরকারের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। সরকারের সব কর্মচারী বাড়ি–গাড়ির ঋণ, মালি ভাতা, বাবুর্চি ভাতা বা বিদেশ সফরের সুযোগ পান না, বা দুর্নীতিও করেন না। তাঁদের জন্য এই মহার্ঘ ভাতা অতীব প্রয়োজনীয়।


গত বছরের শুরুর দিকেও খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু শেষমেশ তা দেওয়া হয়নি, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেতন বাড়ানো হয়। সরকারের পক্ষে থেকে আরও বলা হয়, বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই।


কারণ, সেটা সরকারের বিষয় নয়। দেশের কর্মশক্তির সামান্য অংশই সরকারি চাকরিতে আছেন, বেশির ভাগই বেসরকারি খাতে। ফলে দেশের সিংহভাগ মানুষের প্রতি সরকারের দায় থাকবে না, এটা হতে পারে না।


এটাও ঠিক, বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধি করা সরকারের সরাসরি কাজ নয়, কিন্তু এই খাতের বেতন-ভাতা ন্যূনতম কত হবে, সে বিষয়ে অনেক দেশেই সরকারের দিকনির্দেশনা থাকে। সেটা মানা হচ্ছে কি না, তাও তদারকি করা সরকারের দায়িত্ব। বাজারব্যবস্থা একেবারে স্বাধীন হতে পারে না, তার ওপর সরকারের একধরনের নিয়ন্ত্রণ সবখানেই থাকে, যদিও আমাদের দেশে সেই নিয়ন্ত্রণ খুবই শিথিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও