ভারতই যেভাবে বাংলাদেশে ভারতবিদ্বেষ বাড়িয়ে তুলছে

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮

বাংলাদেশের সঙ্গে এই মুহূর্তে ভারতের সম্পর্ক ঠিক স্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। ভারতের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে যে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা কোনোভাবেই মানতে পারছে না।


সম্প্রতি বহিষ্কৃত ইসকন নেতা ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের পর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা করেছে। ভাঙচুর করেছে এবং আমাদের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছিল বাংলাদেশ সরকার। 


স্বভাবতই ভারতীয় উগ্রপন্থীদের এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশিদের আহত করেছে। তাঁদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এর আগে কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ ও হামলার চেষ্টা করেছিল একদল ভারতীয়। ওই ঘটনার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষের যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। যদিও আগরতলায় হামলার পর ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর ভারতের আচরণ কখনোই বন্ধুসুলভ মনে হয়নি। প্রতিবেশী হিসেবে ভারত একচেটিয়া আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে যাচ্ছে। এটা দেশের সাধারণ মানুষকে ক্রমেই ভারতবিরোধী করে তুলছে।



ভারতকে বুঝতে হবে যে জুলাই বিপ্লব কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর ছিল না। এটি ছিল গণমানুষের আন্দোলন। আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামপন্থী, বামপন্থীদেরও অংশগ্রহণ থাকলেও এটি একটি গণচরিত্র ধারণ করেছিল এবং এই গণ–আন্দোলনের মুখেই স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।


হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়েছে। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও প্রথম দিকে ভারতবিরোধী তেমন কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের পর ভারতীয়দের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।


তবে শুরুটা হয়েছিল ভারতের দিক থেকেই। শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে নিরন্তর হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। একবার চট করে দেশে ঢোকার কথা বলেছেন, আবার তালিকা করে ধরে ধরে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ নিউইয়র্কের সভায় ভিডিও ভাষণে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পরিকল্পনাতেই গণহত্যা হয়েছে। আশ্রয় দেওয়ার পর ভারত এখন নির্বিঘ্নে শেখ হাসিনাকে এসব কথা বলতে দিয়ে এ দেশের মানুষকে আরও খেপিয়ে তুলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও