৪ মাসে ৩ শতাধিক আন্দোলন, দাবি আদায়ে এ কী কৌশল!
হাসিনা সরকারের পতনের পর দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দাবি যতটা না যৌক্তিক, এর চেয়ে পতিত সরকারের চক্রান্ত বেশি ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন অনেকে। মূলত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও নাশকতা করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, প্রতিটি আন্দোলনের মধ্যে ভিন্ন চরিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। কিছু হলেই সড়ক অবরোধ, এমনকি ইদানীং রেললাইনও অবরোধ করা হচ্ছে। বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, দাবি আদায়ে এসব আন্দোলনের মধ্যে পতিত আওয়ামী সরকারের প্রশিক্ষিত কর্মীরা ঢুকে পড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ চক্রের আসল উদ্দেশ্য দাবি আদায় নয়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে আওয়ামী লীগকে সদলবলে ফিরিয়ে আনা। এককথায় বলা যায়, আন্দোলনের লেবাসে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দোসররা প্রতিটি আন্দোলনে ঢুকে পড়ে ভয়াবহ নৃশংসতা চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রতিটি দাবি আদায়ের প্রথম ধাপ হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যথানিয়মে দাবিনামা পেশ করা। এতে কাজ না হলে আলোচনা-সমঝোতার মধ্য দিয়ে বাস্তবভিত্তিক সমাধানে পৌঁছানো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দাবি আদায়ের নামে প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ এবং এরপর ভাঙচুর-সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। এসব ঘটনা স্বাভাবিক বা বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। সব সুপরিকল্পিত। সবকিছুর মধ্যে ঢাকাকে অচল করে দেওয়ার ছাপ। এ অবস্থায় সরকার যদি তার শত্রুপক্ষ এবং তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এ পরিস্থিতি দিনদিন আরও বাড়বে এবং তা একটি সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে অগ্রসর হবে। যার পরিণাম মোটেও ভালো হবে না। দেশে অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টরা ফের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পাবে।