এআই সম্পর্কিত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শিকার ৯৭% প্রতিষ্ঠান
গত এক বছরে প্রায় ৯৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জেনারেটিভ এআই (জেনএআই) সম্পর্কিত অন্তত একটি নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সম্মুখীন হয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপজেমিনির গত বুধবারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘নতুন প্রতিরক্ষা, নতুন হুমকি: সাইবার সিকিউরিটিতে এআই ও জেনারেটিভ এআই কী নিয়ে এসেছে’ শীর্ষক গবেষণাটি সাইবার নিরাপত্তার ক্রমবিকাশে এআই ও জেনারেটিভ এআইয়ের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরেছে। তবে প্রযুক্তির সঙ্গে আসা গুরুতর দুর্বলতাগুলোও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। খবর টেকমনিটর।
ক্যাপজেমিনি বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলোয় ব্যবহৃত এআই সিস্টেম বা টুলের দুর্বলতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি কিংবা তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে রয়েছে এআই সিস্টেমের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতিক্রম করা, ক্ষতিকর কনটেন্ট তৈরি করা (যেমন মিথ্যা ডাটা বা ম্যালওয়্যার) অথবা গোপনীয় তথ্যে অননুমোদিত প্রবেশ।
চলতি বছর মে মাসে ক্যাপজেমিনি এ সমীক্ষা পরিচালনা করে। এখানে এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ১৩টি দেশ থেকে এক হাজার প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল ব্যাংকিং, বীমা, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা ও অ্যারোস্পেস শিল্প। এ বিষয় ক্যাপজেমিনির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেবার গ্লোবাল হেড মার্কো পেরেইরা বলছেন, ‘এআই ও জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার এখন পর্যন্ত একটি দ্বিমুখী তলোয়ার (ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক) হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এসব প্রযুক্তি যেমন একদিকে অনেক সুবিধা দিতে পারে, অন্যদিকে এর সঙ্গে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জও আছে।’