বিএমডব্লিউর শুল্ক ফাঁকি খুঁজতে বেরিয়ে এলো আরও জালিয়াতি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দেশে বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবহার। তবে এসব গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ফাঁকি দিতে তথ্যে অসঙ্গতি ও নানান ধরনের জাল-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অপরাধে শুধু আমদানিকারকই নয়, ক্রেতাদের প্রতারণার তথ্য মিলছে হরহামেশা।
সম্প্রতি বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজের ‘চট্টমেট্রো-গ-১৪-১৭৪৫’ নম্বরের গাড়িটি আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা। এরপরই ওই গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি ও অর্থপাচারের ঘটনা আলোচনায় আসে। জানা যায়, আমদানির সময় গাড়ির মডেল, তৈরির সালসহ সবকিছুই জালিয়াতি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ঠিক কত টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি তা নিশ্চিত করতে পারেনি কাস্টমস।
গাড়িটি আমদানি করে চট্টগ্রামের নাগোয়া করপোরেশন। ২০২০ সালের ৩ মে ব্র্যান্ড নিউ বিএমডব্লিউ প্রাইভেট কারটি খালাস নেয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। খালাসের সময় গাড়িটি বিএমডব্লিউ-৫ সিরিজের ‘৫৩০-ই’ মডেলের ঘোষণা দেওয়া হয়। মূলত গাড়িটি বিএমডব্লিউ-৭ সিরিজের ‘৭৪০-ই’ মডেলের। উৎপাদন হয় ২০১৭ সালে। তবে আমদানির সময় উৎপাদন সাল দেখানো হয় ২০১৯।
কী বলছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনজাহ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাড়িটি চার বছর আগে খালাস নেওয়া। কম ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি বাদেও বেশ কয়েক ধরনের জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে গাড়িটি উৎপাদন হলেও ২০১৯ সালের উৎপাদন দেখিয়ে তা আমদানি করা হয়।’