সাঁওতালদের রক্তে ভেজা মাটিতে এখন সোনালি ধানের ফোয়ারা

ডেইলি স্টার মোস্তফা সবুজ প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:০৭

মাত্র কয়েক বছর আগের কথা। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া গ্রামের আদিবাসীদের অনেক পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটিয়েছে। কিন্তু সেই চিত্র এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। পূর্ব পুরুষদের জমি উদ্ধারের যে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের বিপক্ষে ছিল ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার। দীর্ঘ জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পতন হয়েছে সেই সরকারের।


কিন্তু, ভূমিতে আদিবাসী-বাঙালিদের সেই সংগ্রাম এখনও চলমান। সংগ্রামে গাইবান্ধার সাঁওতালরা পুরোপুরি সফল না হলেও দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে যে ভূমি তারা দখলে নিয়েছে, সেই অনুর্বর জমিকে করে তুলেছে উর্বর। সেখানে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলের হাসিতে ঝলমল করছে গোটা সাঁওতালপল্লি।


গত ১০ নভেম্বর সাঁওতালপল্লিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় সবটুকু জমিতে হয়েছে আমন ধানের চাষ। পাশাপাশি কলা, লাউ, ভুট্টা, মরিচ, ফলজ গাছসহ সবধরনের শাকসবজি চাষে ব্যস্ত সেখানকার নারী-পুরুষ। কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর প্রায় এক হাজার ৬০০ একর জমিতে উফশী জাতের ধান লাগিয়েছেন তারা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ফলন হয়েছে প্রচুর।



পাকা ধানের সোনালী আভা যেন দোল খাচ্ছে হেমন্তের সকালে-বিকেলে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর সাঁওতালপল্লিতে প্রায় এক লাখ মণ ধানের ফলন হবে।


এ বছর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ধানের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে তুলনায় এই ধান নগণ্য হলেও অবহেলার মতো কিছু নয়। শুধু ধান নয়, সারা বছর এখন এই জমিতে বাহারি ফসল ফলছে। ঘরে ঘরে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলও পালন করছেন পল্লির বেশিরভাগ মানুষ। শনিবার হয়ে গেল তাদের নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের নানা পদের খাবার তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন ফসল ঘরে তোলা উপলক্ষে হয়েছে সাঁওতালী নাচ-গান, সঙ্গে অতিথি আপ্যায়ন।


সাঁওতালদের সেই দুর্দিন হয়তো সহজে ভোলা যাবে না। ভোলা যাবে না তাদের আত্মত্যাগ। কিন্তু আপাতত অনেকদূর এগিয়েছে এই পল্লির অনেক ছেলে-মেয়ে। অনেকে স্কুল-কলেজে পড়ছে। অথচ আট বছর আগেও এই জমিতে আখ চাষ করে কোটি কোটি টাকা লোকসান করেছে রংপুর সুগার মিল। অন্যদিকে ফার্মে সাঁওতালদের গরু-ছাগল ঢুকলে তাদের মারধর করা হয়েছে। অনেক সময় দেওয়া হয়েছে সাঁওতালদের বিরুদ্ধে মামলা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও