সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই
যে বিষয়গুলো অনুমোদনের জন্য সংসদে উপস্থাপনের আবশ্যকতা রয়েছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে এ সরকারের মনোযোগী হওয়ার দরকার নেই। কারণ মনোযোগ দিতে গেলে অযথা সময় নষ্ট হবে এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো দৃষ্টির অন্তরালে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হবে। যেমন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল, সেগুলো জনসম্মুখে প্রচার, সংসদের অনুমোদন ছাড়া কার্যকর না করা কিংবা অকার্যকর-বাতিল ঘোষণা করা, দেশে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন কায়েমের কৌশল নির্ধারণ করা, চাঁদাবাজি বন্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।
ফখরুদ্দীন সাহেবের তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর অনেক জোর দিয়েছিল, কমিশন গঠন করেছিল, কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছিল, ফয়জুর রাজ্জাক সাহেবকে চেয়ারম্যান করে কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিল, কমিশন ৭-৮ মাস কাজও করেছিল। আমাকে সে কমিশনের সচিব হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচিত সরকার এসে সংসদে সে অধ্যাদেশ অনুমোদন না করায়, সে কমিশনের বিলুপ্তি ঘটেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বাস্তবতা সামনে রেখে তার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে।