মূল্যবৃদ্ধির জন্য ‘যত দোষ কি সিন্ডিকেট ঘোষের’

প্রথম আলো রুশাদ ফরিদী প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১২

খুব সম্ভবত ২০০৯ সালের জুনের কোনো এক দিনের ঘটনা। একটা ফোন এল। ফোনে অন্য প্রান্তে একজন নারীর কণ্ঠ। তিনি বলছেন, সম্প্রতি একটি পত্রিকার কলামে আমার লেখা দেখে ফোন করেছেন।


আমি একটু অবাকই হলাম। আমি খুব বেশি নিয়মিত লিখি না। আর লিখলেও আমার লেখা কারও ভালো লাগলে পরিচিত না হলে সাধারণত ফোন করার কথা নয়। অপরিচিত ব্যক্তিরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা বড়জোর ই-মেইলে প্রতিক্রিয়া জানান।


তিনি জানান, তিনি পত্রিকায় যোগাযোগ করে আমার ফোন নম্বর নিয়েছেন। যা-ই হোক, কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর বুঝতে পারলাম, প্রথম আলোতে প্রকাশিত কলাম, যার শিরোনাম ছিল ‘ব্যবসা করা মহাপাপ’ লেখাটির কথা বলছেন। লেখাটি ছিল পবিত্র রমজান বা ঈদের আগে চিনির মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ে।


চিনির দাম তখন বেড়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার যথারীতি ফ্যাসিস্ট কায়দায় ব্যবসায়ীদের ধরে জেলে পাঠানো শুরু করে। ওই নারীর স্বামী এ রকম একজন চিনি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন।


তিনি স্বামী আর পরিবারের হয়ে আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চান। কারণ, সব আত্মীয়স্বজনের কাছে তাঁরা দাগি আসামির মতো নিজেদের মনে করছিলেন। এ সময় আমার লেখা দেখে তাঁরা বড়ই কৃতজ্ঞতা বোধ করেছেন। বিশেষ করে তাঁর স্বামী, ওই চিনি ব্যবসায়ী এই কৃতজ্ঞতা পৌঁছে দিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।



আমার সেই লেখার মূল বক্তব্য ছিল, ব্যবসায়ীরা যদি চাইলেই দাম বাড়াতে পারতেন, তাহলে তো তাঁরা নিশ্চয়ই রোজার জন্য অপেক্ষা করতেন না দাম বাড়ানোর জন্য। কারণ, ওটা একটা স্পর্শকাতর সময়। মিডিয়া ও সরকার এ সময় দামের ওপর কড়া নজর রাখে। তাহলে দাম বাড়ানো যদি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে বোকার মতো ওই সময় কেন দাম বাড়াবেন?


ওই সময় দাম বাড়ার আসল কারণ ভোক্তারা চাহিদা বাড়িয়ে দেন, কিন্তু তখন জোগান অপরিবর্তিত থাকে। আর বাজারের অমোঘ নিয়মে তখন দাম বাড়ে। তখন দাম কমানোর একমাত্র উপায় সরবরাহ বাড়ানো। সরকার সেদিকে না গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চালু করে। তাই ব্যবসা করাটাই ‘পাপ’ বলে মনে হচ্ছে।


অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, এ ধারণা গত ১৫ বছরে বদলায়নি। সেই একই চর্বিত চর্বণ, যেকোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেই ‘সিন্ডিকেট, সিন্ডিকেট’ বলে সবাই ফেনা তুলে ফেলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, মিডিয়া, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা—সবাই শুধু সিন্ডিকেট নিয়ে পড়ে আছেন। সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দুষছেন সিন্ডিকেটকে।


কিছু হলেই সিন্ডিকেট, কেন এই প্রবণতা? তার কারণ হলো, এটা খুবই সহজবোধ্য ও আপাতদৃষ্টে বেশ যুক্তিযুক্ত একটা ব্যাখ্যা জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর। কারণ, আমি যখন বাজারে যাই আর যেকোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনি, তখন তো বিক্রেতার কাছ থেকেই কিনি। আর সে এক সপ্তাহ আগে যে দামে বিক্রি করতেন, তা আজ ২০ টাকা বেশি দিয়ে বিক্রি করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও